বিলাসপুরের আগুন যেন এখনও দগদগে
প্রায় আড়াই বছর আগে আগুন জ্বলেছিল বিলাশপুরে। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পরের দিনের কথা। নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের হিসেব আর আধিপত্য বিস্তারের নামে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কর্মীরা। ওই ঘটনায় উভয় পক্ষ থেকেই জ্ঞত-অজ্ঞাত শত শত আসামির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। আসামিদের প্রায় সবাই জামিনে রয়েছেন। কেউ আবার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু সেই আগুন যেন এখনও দগদগ করে জ্বলছে এলাকাবাসীর মনে।
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিলাসপুরের ২নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র হাজার বিঘা ফোরকান মাদ্রাসা। কেন্দ্রের পাশেই ২০১৪ সালের ৬ জানুয়ারি ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জাতীয় পার্টির নির্বাচিত সংসদ সদস্য সালমা ইসলামের সমর্থকদের ওপর ওই দিনের হামলায় তিন জন নিহত হয়। অভিযোগ ওঠে সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী এমএ মান্নানের বিরুদ্ধে। এমএ মান্নানের পক্ষ না নেয়ার কারণেই তাদের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
কথা হয় ভোট দিতে আসা আনাসারউল্লাহ নামের একজনের সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, “সেই ঘটনা কোনোদিনই ভুলবার নয়। গ্রামের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটবে কেউই ভাবিনি। নিজেরাই নিজেদের শত্রু বানিয়ে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটনা হয়।
ভোট কেন্দ্রে এলেই এখন ভয় লাগে।”
কেন্দ্রের দায়িত্বে আছেন পুলিশের এসআই আজহার। তিনি বলেন, এই কেন্দ্রের পাশেই ওই ঘটনাটি ঘটেছিল। এ কারণে অধিক সতর্কও রয়েছি আমরা।
কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে এজেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন শাজাহান। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন, সকাল থেকে সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে। জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। কিন্তু দুপুরের পর পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে। আতঙ্ক কাজ করছে। অনেকেই ভয় দেখাচ্ছে।
শাজাহানের পাশেই বসে থাকা নৌকা প্রতীকের এজেন্ট আল হক আতঙ্কের কথা অস্বীকার করে বলেন, বিশেষ সুবিধা পেতেই এমন আতঙ্কের কথা বলা হচ্ছে। ভয়ের কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না। নৌকা প্রতীক-ই জিতবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এএসএস/এআর/আরএস/পিআর