বেনাপোল থানা : কাজ থাকলেও নেই কার্যালয়


প্রকাশিত: ০৩:১৪ এএম, ২৩ মার্চ ২০১৬

থানা আছে, কাজ আছে কিন্তু নেই তার নিজস্ব কার্যালয়। ৬ মাসের জন্য অস্থায়ী বেনাপোল পোর্ট থানার কার্যক্রম শুরু হলেও ১৫ বছর পরও থানার নিজস্ব কোন ভবন গড়ে ওঠেনি।

জানা গেছে, বেনাপোলের গুরুত্ব অনুধাবন করে ২০০১ সালে ৫ এপ্রিল তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বন্দরসহ বেনাপোল, বাহাদুরপুর ও পুটখালি ইউনিয়ন নিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার উদ্বোধন করেন। ৩টি ইউনিয়নের সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রথম শ্রেণির বেনাপোল পৌরসভা। কিন্তু এ থানার নিজস্ব জমি ও ভবন না থাকায় বেনাপোল বন্দরের অভ্যন্তরে একটি ভাঙা পরিত্যক্ত একতলা বাড়িতে শুরু হয় পোর্ট থানার কার্যক্রম। সে অবস্থায় এ থানার কার্যক্রম চলছে আজও।

একটি পৌরসভা ও ৩টি ইউনিয়নের ১ লাখ ৫০ হাজার লোকের বসবাস। থানার গুরুত্ব বাড়ায় এখানে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ২ জন পরিদর্শক, ৮ জন উপ-পরিদর্শক, ৫ জন সহকারী উপ-পরিদর্শক, ৯ জন নারীসহ ৩৯ জন পুরুষ কনস্টেবল। পরিত্যক্ত একতলা ভবনে টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ২য় তলায় পুলিশ ব্যারাক। রোদ, বৃষ্টি আর শীত এ ব্যারাকে থাকা মানুষগুলোর নিত্যসঙ্গী। বৃষ্টির পানি পড়ে ভিজে নষ্ট হয় পুলিশের পোশাক-পরিচ্ছেদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও বর্ষার সময় থানার ভেতরে হাঁটু সমান পানি জমে থাকে।

ব্যারাকে জায়গা না থাকায় গাদাগাদি করে থাকতে হয় তাদের। অনেককে আবার থাকতে হয় ভাড়া বাড়িতে। সেক্ষেত্রে নারী সিপাহীদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। ফলে পুলিশ কর্মকর্তাসহ সিপাহীরাও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। তাছাড়া নেই পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা-আলাদা গারদখানা। একই টয়লেট ব্যবহার করে পুলিশ ও আসামিরা। পর্যাপ্ত জনবল থাকার পরও পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকার কারণে পুলিশ, আসামি ও থানায় আসা সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়।

বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় এ থানার কোন নিজস্ব কার্যালয় বা পুলিশ ব্যারাক না থাকায় আমি নিজেই বাসা বাড়িতে ভাড়া থাকি। থানার অন্যান্য অফিসাররাও বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ভাড়া থাকে। সিপাইরা থানার উপরে টিনের ছাউনি দেয়া জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে বসসাস করছে ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে থানার উন্নয়ন।

তিনি আরও জানান, ছোটআঁচড়ার বাইপাস সড়কে ১ একর জমির উপর থানার স্থান নির্বাচন করা হলেও বর্তমানে ওই জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়নি সরকারি অর্থ বরাদ্দ না থাকার কােণে। স্থানীয় লোকজনও থানা উন্নয়নে রয়েছে পিছিয়ে। বেনাপোল পোর্ট থানার নিজস্ব জমি ও ভবনসহ ব্যারাক নির্মাণের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।