‘বাংলাদেশ মাদক অনুপ্রেবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫১ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ফাইল ছবি

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ মাদক অনুপ্রেবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আয়োজিত এক সভায় তিনি একথা বলেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনও এ সভায় বক্তব্য রাখেন।

তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ মাদক অনুপ্রেবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, যদিও বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ নয়। বর্তমানে অ্যামফেটামিন টাইপ স্টিমুল্যান্টস (এটিএস) এর মতো কৃত্রিম ওষুধ, যা স্থানীয়ভাবে ইয়াবা নামে পরিচিত জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে আমরা মনে করি। তিনি আরও বলেন, ব্যস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে এধরনের সিনথেটিক ড্রাগস পাচার করার সুযোগ নিচ্ছে। ক্রিপ্টোকারেন্সির মত প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহার করে মাদক পাচারকারী খুব সহজেই লেনদেন করে থাকে।

এদিকে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সোমবারের কার্যক্রম বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন।

‘বাংলাদেশ মাদক অনুপ্রেবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ’

আরও পড়ুন> হাঙ্গেরির সঙ্গে তিন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

মন্ত্রী বলেন, সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুসের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় বাংলাদেশের সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নতিকরণ এবং সবার জন্য সহজ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য গৃহীত পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আমি এসডিজি গোলটেবিল আলোচনায় আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ সবার অংশগ্রহণে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে। দারিদ্র্য এবং ক্ষুধা নিরসনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার ফলাফল স্বরূপ বাংলাদেশের অতি দারিদ্র্যের হার ২০২২ সালে ৫ দশমিক৬ শতাংশে নেমে এসেছে যা ২০০৬ সালে ছিল ২৫ দশমিক ১ শতাংশ। কিন্তু এসডিজি বাস্তবায়নে বৈশ্বিক অংশীদারত্বের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ফারাক বিদ্যমান। আমরা চাই, দোহা প্রোগ্রাম অফ অ্যাকশন ফর এলডিসি-এর অধীনে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। আমরা চাই নিয়মভিত্তিক বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থা। অর্থায়ন ইস্যুতে আমাদের বক্তব্য হলো, রেয়াতি ঋণ এবং জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নূ্্যনতম শর্তাদি আরোপ। সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাত যাতে এসডিজিতে বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে পারে সে জন্য যথেষ্ট প্রণোদনা থাকা দরকার বলে আমরা মনে করি।’

আইএইচআর/এসএনআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।