বেতন বাড়ানোর দাবিতে মিরপুরে পোশাকশ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৩৯ এএম, ১২ নভেম্বর ২০২৩
মিরপুরে সড়ক অবরোধ করেন পোশাকশ্রমিকরা/ ছবি- জাগো নিউজ

সরকার ঘোষিত সাড়ে ১২ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান করে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে ফের মিরপুরে সড়ক অবরোধ করেন পোশাকশ্রমিকরা। তবে এরই মধ্যে পোশাকশ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে গেলেও ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন তারা।

আরও পড়ুন: গাজীপুরে পুলিশ-পোশাক শ্রমিক সংঘর্ষ, নারী নিহত

রোববার (১২ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৮টা থেকে মিরপুর ১৩ নম্বরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন কয়েকশ শ্রমিক। এতে মিরপুর ১৩, ১৪ ও ১০ নম্বরে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মূল সড়কসহ আশপাশের সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। পরে সকাল সোয়া ১০টার দিকে আন্দোলনরত শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে যান। 

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পোশাকশ্রমিকরা বেশিরভাগ মিরপুর ১৩ নম্বরের ভিশন, এমবিএম, লোডস্টার, সারোজ গার্মেন্টসসহ আশপাশের গার্মেন্টসের শ্রমিক বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভে একশো কারখানা বন্ধ

বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা জানান, তাদের বেতন ন্যূনতম ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে তারা রাস্তায় নেমেছেন। নতুন যে ন্যূনতম বেতন ১২ হজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা তারা মানেন না বলে জানান।

সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

আরও পড়ুন: শ্রমিক আন্দোলনে ১২৩ কারখানায় ভাঙচুর, গ্রেফতার ৮৮

কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলম বলেন, সকালে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমেছেন। সকাল ৯টার পর তারা মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে গেছেন।

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, সকাল সোয়া ৮টার দিকে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানের কয়েকশ শ্রমিক রাস্তা অবরোধ করেন। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানো হয়েছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি। যান চলাচল স্বাভাবিক।

এর আগে, শনিবার দুপুরে একই দাবিতে মিরপুর ১৩ নম্বরে সড়ক অবরোধ করেন পোশাকশ্রমিকরা। পরে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।

এসএম/আরএসএম/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।