‘পাখি দিয়ে ভাগ্য গণনা শুধুই মনের সান্ত্বনা’
‘ভাগ্য মানেই মানুষের কর্ম। কর্ম ছাড়া ভাগ্য নেই। মানুষের ভাগ্য গড়াইতে পারলে, আমি কি ফুটপাতে বসতাম? কোনো উপায় না পেয়ে মানুষ ফুটপাতে বসি। ভাগ্য বললে ভুল হবে। এটা হচ্ছে মনের সান্ত্বনা, ভাগ্য গণনা নয়!’
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এভাবেই বলছিলেন গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চের সামনের ফুটপাতে ‘টিয়া পাখি দিয়ে বর্তমান-ভবিষ্যৎ’ বলে দেওয়া পাখি চাচা নামে পরিচিত মনসুর আলী।

জাগো নিউজকে তিনি জানান, প্রায় ১৮ বছর ধরে পাখি দিয়ে এই ভাগ্য গণনার কাজটি করেন। তবে এগুলো গণনা সত্যি নয়, শুধুই মনের সান্ত্বনা কিংবা বিনোদন। বিভিন্ন ফালনামার বই থেকে নামের অক্ষর দিয়ে রাশি অনুমান করে এই খামগুলো তৈরি। টিয়া পাখি যে খামটি তোলে সেটিতে আগে থেকে লেখা আর কিছুটা নিজে অনুমান করে বলেন তিনি।
এটা মানুষের সঙ্গে একপ্রকার প্রতারণা করা হয় কি না জানতে চাইলে জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘এর আগে পুরোনো মালের ব্যবসা করতে চাইলেও পারিনি। অনেক টাকা মার খাইসি। গাড়িও চালাইসি ম্যালা দিন কিন্তু এখন বয়সের কারণে কেউ দেয় না। ভিক্ষাটাই করা বাকি, তবে আমি ভিক্ষা করুম না। আর আমি কাউরে বলিও না যে, পাখি যে খাম উঠাইবে, অইটাই তার ভাগ্য।’

মনসুর আলীর সংসারে তারা স্বামী-স্ত্রী মাত্র দুজন। বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায়। দুই ছেলে এক মেয়ে। তাদের সবার বিয়ে হয়েছে। তারা নিজেদের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। এই বয়সে এসে তার তেমন কোনো চাওয়া পাওয়া নেই। তিন বেলা তিন মুঠো খেয়ে বাচতে পারলেই হয়। এটাই তার ইচ্ছা।
বিএ/এএসএম