জানাতে হবে অর্থের উৎসও

নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব না দিলে মামলা দেবে ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১৩ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
ফাইল ছবি

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় কত হলো সেটি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানাতে হবে। এ সংক্রান্ত হিসাব দাখিল না করলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। এমনকি নির্বাচনী ব্যয়ের অর্থপ্রাপ্তির উৎসও জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের বিষয়টি অবহিত করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রার্থীদের যে কোনো তফসিলি ব্যাংকের কোনো একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট থেকে নির্বাচনী ব্যয় করতে হবে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিদিনের ব্যয়ের হিসেব দাখিল করতে হবে প্রার্থীদের। এছাড়া কোনেো প্রার্থী নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

সেখানে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যেক নির্বাচনী এজেন্টকে অথবা এজেন্ট নিয়োগ করা না হলে প্রার্থী কর্তৃক নিজে নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য (ব্যক্তিগত ব্যয় ব্যতীত) তফসিলি ব্যাংকে পৃথক অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হবে। সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যক্তিগত ব্যয় ব্যতীত নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যয়ের সমুদয় অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

নির্দেশনায় নির্বাচনী ব্যয় দাখিলের ক্ষেত্রে ৬টি বিষয় উল্লেখ থাকতে হবে-
(ক) প্রতিদিন ব্যয়িত অর্থের বিবরণীসহ পরিশোধিত অর্থের সব বিল, রসিদ ও ভাউচারসমূহ;

(খ) আদেশের অনুচ্ছেদ ৪৪ খখ এর দফা (ক) তে বর্ণিত তফসিলি ব্যাংকে খোলা অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থ এবং ওই অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তোলিত অর্থের প্রত্যয়িত বিবরণী;

(গ) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক ব্যক্তিগত খরচ, যদি থাকে;

(ঘ) নির্বাচনী এজেন্ট অবহিত আছেন এরূপ সব বিতর্কিত দাবির বিবরণী;

(ঙ) নির্বাচনী এজেন্ট অবহিত আছেন এরূপ সব অপরিশোধিত দাবির একটি বিবরণী;

(চ) নির্বাচনী খরচের জন্য যে কোনো উৎস থেকে প্রাপ্ত সব অর্থপ্রাপ্তির প্রমাণসহ এবং ওই অর্থের প্রত্যেক উৎসের নাম উল্লেখ করে বিবরণী।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত বিধান সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়ে দিতে হবে। তারপরও যদি কেউ ওই বিধান লঙ্ঘন করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। যে ক্ষেত্রে নির্বাচনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী মামলা দায়ের হবে না, সেক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে এবং যে নির্বাচনে অপরাধ সংঘটিত হবে যদি ওই নির্বাচন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারাধীন থাকে এবং হাইকোর্ট বিভাগ ওই অপরাধ সম্পর্কে কোনো আদেশ দিলে তার তিন মাসের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারকে উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, মামলা দায়েরের জন্য নির্বাচন কমিশনের পূর্বানুমতির প্রয়োজন নেই। ফলে এ বিষয়ে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বিভিন্নভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অবহিত করে ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করা আবশ্যক।

এসএম/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।