পরিবহনে চাঁদাবাজি: র্যাবের অভিযানে আরও ৩২ জন গ্রেফতার
সড়ক ও মহাসড়কে সবজিসহ অন্যান্য পণ্যবাহী গাড়ি থেকে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনের সময় ৩২ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। গতকাল (বুধবার) রাত ১০টা থেকে মধ্যরাত ১টা পর্যন্ত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, পণ্যবাহী কোনো গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করলেই লেজার লাইটের আলো নিক্ষেপ করে থামিয়ে চাঁদা আদায় করতো চাঁদাবাজরা। বিশেষ করে মধ্যরাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যখন পণ্যবাহী ট্রাক ঢাকায় প্রবেশ করে, তখন সড়কে এমন চিত্র শুরু হয়। এ চক্র ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং গাজীপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিরাতে পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র্যাব-১ এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাক আহমেদ।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকাসহ সারাদেশে নিত্যপণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারি বাজার এবং খুচরা বাজারে সবজির মূল্যে তারতম্য দেখা যায়। পণ্য উৎপাদনের স্থান থেকে পাইকারি বাজারে পরিবহনের সময় দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ধাপে ধাপে চাঁদা দেওয়ার কারণে পাইকারি বাজারে এসে বেড়ে যাচ্ছে সবজির দাম। যার মাশুল দিতে হয় সাধারণ ক্রেতাদের। কিছু কিছু স্থানে র্যাব ও ভোক্তা অধিকারের সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে সাময়িক নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক থাকলেও পরবর্তী সময়ে আবার আগের মতো উচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন>> চট্টগ্রামে পরিবহনে চাঁদাবাজি, ৩০ জন গ্রেফতার
তিনি বলেন, র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানীসহ সারাদেশে র্যাবের বিভিন্ন ইউনিটের গোয়েন্দা দল তাদের নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পাইকারি বাজারসহ বিভিন্ন স্থানের চাঁদাবাজির তথ্য উদঘাটনের জন্য কাজ শুরু করে। এরপর অভিযান চালিয়ে ৩২ চাঁদাবাজকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, যারা আসন্ন পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে কারসাজির মাধ্যমে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
র্যাব নাগরিক সমাজকে আহ্বান জানাচ্ছে, যারা কারসাজির মাধ্যমে নিত্যপণ্যের অবৈধ মজুত করবে তাদের সম্পর্কে তথ্য দিয়ে র্যাবকে সহায়তা করতে। এ ক্ষেত্রে তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।
টিটি/এমএইচআর/জিকেএস