মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয় বাংলাদেশ: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১৫ পিএম, ১১ জুন ২০২৪

মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় স্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ফাইনাল ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ফেয়ার অব আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রজেক্ট’ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন, মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে আমরা বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় স্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে উত্তরণ করেছি। আর এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণেই।

এসময় মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে আমাদের ৮৫ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আর্টিমিয়া মৎস্য খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা উৎপাদনের মাধ্যমে আমরা মাছের উৎপাদন আরও বাড়াতে পারি। এছাড়া আর্টিমিয়া উৎপাদনের মাধ্যমে আমরা বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করতে পারি।

দেশে আর্টিমিয়া চাষ হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং ওয়ার্ল্ড ফিশের উদ্যোগে আমাদের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে লবণ চাষের পাশাপাশি আর্টিমিয়া চাষ হচ্ছে। ফলে মাছ, বিশেষত চিংড়ি জাতীয় মাছের উৎপাদন বাড়ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ ধরনের মাছের খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আর্টিমিয়া চাষ ও মৎস্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য পলিসি সাপোর্ট প্রদানের বিষয়ে তিনি বলেন, এ খাতকে উত্তরোত্তর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে ধরনের পলিসি সাপোর্টের প্রয়োজন তা অবশ্যই মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া গেস্ট অব অনার হিসেবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. জুলফিকার আলী ও বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক প্যাট্রিক সরগেলুস উপস্থিত ছিলেন।

এনএইচ/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।