তনু হত্যার তদন্ত নিয়ে জনমনে সন্দেহ : মিজানুর রহমান


প্রকাশিত: ০৯:৫২ এএম, ১৫ মে ২০১৬

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার তদন্ত নিয়ে জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।

রোববার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার ও ফৌজদারি ন্যায়বিচার প্রশাসন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ কথা বলেন।

২০ মার্চ কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের অলিপুর এলাকায় একটি কালভার্টের পাশের জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ধর্ষণের পর তনুকে হত্যা করা হয়েছে- প্রথমে এমন সন্দেহ করা হলেও ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ১০ মে তনুর মা সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, সেনা ইউনিটের অনুষ্ঠানে গান না করায় তার মেয়েকে হত্যা করা হয়। তার চুল কেটে দেয়া হয়, হত্যার পর সেনাবাহিনীর লোকজন তার মেয়ের মরদেহ বাড়ির কাছে ফেলে যায়। এসময় তিনি দুই সেনা সদস্যের নাম উল্লেখ করেন। হত্যাকাণ্ডের পর বাসা থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের অ্যালবাম নিয়ে যাওয়ার পর আমাদের মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হয়। ঘটনার আড়াল করার চেষ্টা করছে ওরা।

মিজানুর রহমান বলেন, তনু হত্যার তদন্তপ্রক্রিয়া ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হবে কি না, সেটা নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। শুধু তনু নয়, যেকোনো হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রতিমুহূর্তে বলে যাচ্ছে, আমরা অতি কাছে চলে এসেছি। প্রমাণ হাতে পেয়েছি। এ ধরনের আশ্বাসবাণী বারবার দেয়া হয়। কিন্তু এসব কথার বাস্তবায়ন হচ্ছে খুব কম। কথা ও কাজের সঙ্গে মিল হচ্ছে না অনেক ক্ষেত্রেই।

কেউ থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে সেটি নেয়া হয় না- এমন অভিযোগ করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রশ্ন রাখেন, তাহলে মানুষ যাবে কোথায়?

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ভারতের আইন কমিশনের সাবেক সদস্য পদ্মশ্রী এন আর মাধব মেনন বলেন, পুলিশের গ্রেফতারের ক্ষমতা যদি কমানো যায়, তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অর্ধেকে নেমে আসবে। দেখা গেছে, ভারতে পুলিশের গ্রেফতারি ক্ষমতা কমালে ৬২ শতাংশ গ্রেফতার এড়ানো যেত।

কাঠমান্ডু স্কুল অব ল’র অধ্যাপক যুবরাজ স্যাংরোলা বলেন, পুলিশের সঙ্গে সরকারি প্রসিকিউশনের যদি সমন্বয় না থাকে, তবে সুষ্ঠু বিচার হওয়া খুবই কঠিন।

এফএইচ/এনএফ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।