জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ
প্রকল্পের কাজ না করে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা
বরগুনার তালতলীর ‘পরিবেশবান্ধব জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠায় সম্ভাব্যতা যাচাই’ প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে না করে বাস্তবায়িত কাজের চেয়ে অতিরিক্ত ১ কোটি ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুদকের পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক তাপস বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলা করেছেন বলে কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্পটির সাবেক প্রকল্প পরিচালক মো. সাইদুর রহমান এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘টার্বু মেশিনারি সার্ভিসেস বাংলাদেশের’ প্রোপাইটর ড. ফজলে মাহবুবকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বরগুনার তালতলীর বঙ্গোপসাগরের মোহনায় পরিবেশবান্ধব জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প নির্মাণে ‘পরিবেশবান্ধব জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠায় সম্ভাব্যতা যাচাই’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ১২ নভেম্বর অনুমোদন দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। এতে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে যোগ দেন সাইদুর রহমান।
এ প্রকল্পের জন্য মূল্যায়ন কমিটির বাছাইয়ে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয় দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠান জেনটেক ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড; যার দেশীয় এজেন্ট ‘টার্বু মেশিনারি সার্ভিসেস বাংলাদেশ’। প্রকল্প পরিচালক সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত মূল পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হওয়া জেনটেক ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে বাদ দিয়ে ‘টার্বু মেশিনারি সার্ভিসেস বাংলাদেশের’ সঙ্গে ৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার চুক্তি সই করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, পরে ঠিকাদার ফজলে মাহবুবেব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্প পরিচালক সাইদুর রহমানকে দুই কিস্তিতে মোট ২ কোটি ৭৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকল্পের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
এরপর সার্ভে কাজের সঠিকতা যাচাইয়ে বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে এক তদন্তে প্রকল্পে সঠিকভাবে কাজ না করে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্প পরিচালক যোগসাজশ করে অতিরিক্ত ১ কোটি ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসএম/এমকেআর/এমএস