‘একটা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কত অর্থ প্রয়োজন?’

শাহানা হুদা রঞ্জনা
শাহানা হুদা রঞ্জনা শাহানা হুদা রঞ্জনা
প্রকাশিত: ০১:৩১ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৩

প্রাচীন গ্রিক বিয়োগান্তক নাটকের রচয়িতাদের মধ্যে একজন হলেন - সোফোক্লিস, তিনি বলেছিলেন, "প্রতারণা করে সফল হওয়ার চেয়ে সম্মানের সাথে ব্যর্থ হওয়া ভাল।" কথাটা শুনতে ভালো কিন্তু মানতে দেখছি না। আমাদের চারপাশের পরিস্থিতি একদম ভিন্ন। প্রতিদিন বিভিন্ন চুরি-চামারি, জালিয়াতি ও আত্মসাতের খবর পড়ে আমার মতো অনেকেই হয়তো ভাবেন, এরা কারা? আমরাতো এমন না। আমরা কেন সৎপথে দুটি টাকা আয় করে সম্মানজনকভাবে বাঁচবো বলে সকাল-সন্ধ্যা পরিশ্রম করি? কেন মাস গেলে যে টাকা হাতে আসে, এর একটিও ব্যাংকে জমা রাখার সুযোগ পাই না? তবে কি আমরা বোকা? সততা কি আমাদের দুর্বল করে রেখেছে?

অথচ এই দেশেই আমাদের অনেকের চাইতেও অথর্ব, কম জ্ঞান ও যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ কোটি কোটি টাকার উপর হাত-পা ছড়িয়ে বসে পা দুলাচ্ছে? বুঝতে পারি একধরনের হতাশা থেকে নিজের মধ্যে এই ক্লেদ জমা হচ্ছে। কেউ আয় করবে, অর্জন করবে, আরাম-আয়েশে জীবন কাটাবে, আকাশে উড়বে, চাঁদে বেড়াতে যাবে, জয়মাল্য পরবে, এতো আনন্দের কথা, অর্জনের কথা। এসব দেখে আমাদের হিংসা বা কষ্ট হয় না, কষ্টটা হয় অন্য জায়গায়।

যখন খবরে দেখি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। যখন শুনি ২০২১ সালে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় ৮ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। এতকিছুর পরেও যখন জানতে পারি দুবাইতে বাংলাদেশীরাই সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী এবং তাদের বিনিয়োগের জোরে সে দেশের অর্থনীতি ফুলেফেঁপে উঠছে এবং আমার-আপনার অর্জিত টাকা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে সেই তস্কররা, তখন খুবই কষ্ট হয়।

আমাদের মতো মামুলি মানুষের কষ্টের এখানেই শেষ না, শুনতে পাচ্ছি ব্যাংকের কোষাগার খালি হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নাকি টাকা ছাপাচ্ছে অভাব মেটানোর জন্য, অথচ এই অবস্থাতেও “বিশেষ বিবেচনায়” বেক্সিমকো গ্রুপকে ২২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে জনতা ব্যাংককে। কিন্তু কেন নিয়ম না থাকার পরেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই অনুমতি দিলো?

টাকা ছাপিয়েই কি সব সমস্যার সমাধান করা যায়? যদি প্রশ্ন করি ঋণ করে ঘি খাওয়ার কাজটা কতটা অর্থপূর্ণ হচ্ছে? অনেকে বলেন, ১১ মাসে ৭০ হাজার কোটি টাকা ছাপানোই মুদ্রাস্ফীতি ও বৈদেশিক মূদ্রার মূল্য বৃদ্ধির মূল কারন। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য গত ১১ মাসে সরকার যে টাকা ছপিয়েছে, সেটা খবর হয়েছে মিডিয়ায়। উন্নয়নের কাজে এই ছাপানো টাকাটা কতটা লাগবে, তা জানিনা, তবে এই টাকার লভ্যাংশ পেয়েছে ব্যবসায়ীরা এবং সুযোগ সুবিধা পেয়েছে বিশেষ শ্রেণির কর্মকর্তারা। এই ৭০ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়েছে ডলারের দাম। এখন সেই কাদায় খাবি খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

যখন একশ্রেণির মানুষকে দেখি ডাইনে-বায়ে টাকা আয় করছে, নিয়ম-অনিয়মের তোয়াক্কা করছে না, যেখানে যাকে পারছে কোপ মেরে টাকা আয় করছে, তখন মনেহয় ছোট মেয়ে চিহিরোর গল্পটার কথা। গল্পটা এরকম, বাবা মায়ের সাথে নতুন শহরে যাবে ছোট্ট মেয়ে চিহিরো। যেতে গিয়ে পথ হারিয়ে একটি ছোট্ট বনের ভেতরে ঢুকে পড়ে তারা। সেই বনের ভেতরে দিয়ে যেতে যেতেই হঠাৎ সামনে দেখে একটি প্রাচীন বাড়ির গেট ও একটি আজব মূর্তি। চিহিরো পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে ভয় পায়, ফিরে যেতে চায়। বাবা মা তাকে গাড়িতে থাকতে বলে। ছোট্ট চিহিরোকে তারা বলে বাড়িটির ভেতরটা দেখেই চলে আসবে।

কিন্তু একা একা ভয় পেয়ে চিহিরো তাদের পিছু নেয়। চিহিরোর বাবা-মা বাড়িটির ভেতরে গিয়ে দেখে বাড়িটির পেছনে বাইরে বেরুবার একটি পথ দেখা যাচ্ছে। সেটি দিয়ে এগিয়ে তারা দেখে সেখানে জনমানবহীন অন্য একটি শহর। শহরটিতে ঢোকামাত্র খাবারের সুন্দর গন্ধ পেতে থাকে তারা। একটু এগিয়েই তারা দেখে টেবিলে সারি সারি খাবার রাখা কিন্তু চারপাশে কেউ নেই। একটু ডাকাডাকি করে চিহিরোর মা-বাবা ভাবে খেয়ে নেই, কাউন্টারে লোক এলে বিল দেয়া যাবে। এইভেবে তারা সুস্বাদু খাবারগুলো খেতে শুরু করে।

ওদিকে চুপচাপ পরিবেশ দেখে চিহিরোর ভয় আরো বেড়ে যায়। বাবা মা'কে ছেড়ে আজব ভীতিকর এলাকাটা একটু ঘুরে ফিরে দেখতে থাকে চিহিরো। এদিকে সুস্বাদু সব খাবার গোগ্রাসে খেতে থাকে চিহিরোর বাবা-মা। চিহিরো ঘুরে এসে পেছন থেকে দেখে মা বাবা বেশ মোটা হয়ে গেছে খেতে খেতে। ভয় পেয়ে তাদের ডাকলে তারা ফিরে তাকায়। চিহিরো অবাক হয়ে দেখে দেখে তার বাবা-মা মানুষ নেই, শুকরে পরিণত হয়েছে তার বাবা-মা।

সেই দেশের যে ডাইনি সে এইভাবে লোভী মানুষদের ধরে এনে খাইয়ে খাইয়ে মোটা তাজা করে এবং একদিন রোষ্ট বানিয়ে খেয়ে ফেলে। জাপানের স্টুডিও জিবলির এনিমেটেড ফিল্ম "স্পিরিটেড অ্যওয়ে" এর গল্পের একটি অংশ এটি। আমাদের মধ্যে অনেকেই চিহিরোর বাবা-মায়ের মত শুধু গোগ্রাসে খাচ্ছে। অন্যের জমি, টাকা, সম্পদ, বাড়িঘর সবকিছু। এমনকি পার্ক, পাহাড়, সমুদ্র, বনভূমি, নদী, মাটি, শহর, গ্রাম এবং উপকূল ভূমিও বাদ যাচ্ছেনা। প্রয়োজন পড়লে এরা মানুষ ও পশুপাখিও খেয়ে ফেলতে পারে।

খুব সম্প্রতি ডিজিটাল প্রতারণার মাধ্যমে যেমনটি খেয়ে ফেলেছে অসংখ্য সাধারণ মানুষের টাকা। এমটিএফই নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে ‘কোটি কোটি’ টাকা। সাধারণ মানুষ বুঝে না বুঝে যে টাকা বিনিয়োগ করেছেন, তাদের পুরো টাকাটিই খোয়া গেছে। কারণ, যে অ্যাপে তারা বিনিয়োগ করেছিলেন, সেই অ্যাপ আর কাজ করছে না। এভাবে মুঠোফোনের অ্যাপে নিবন্ধন, ডলার কিনে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার হাতছানি, এক কান, দুই কান থেকে শত শত মানুষের কানে এই লোভের বার্তা ছড়িয়ে গিয়েছিল।

এরপর একদিন দেখা গেল, সেই কোম্পানি উধাও। মানুষের সঙ্গে এই প্রতারণা করেছে মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ (এমটিএফই) গ্রুপ ইনকরপোরেটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান, যা সংক্ষেপে ‘এমটিএফই’ নামে পরিচিত। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এই প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার শিকার হওয়ার খবর আসছে প্রতিনিয়ত।

অথচ বাংলাদেশে এধরনের প্রতারণার ঘটনা প্রথম না। প্রতারকরা প্রায়ই সবার সামনে এভাবে ফাঁদ পেতে থাকে। সাধারণ মানুষ সহজভাবে বা পরিশ্রম না করে টাকা আয়ের স্বপ্নে বিভোর থাকেন বলে, একবারও ভেবে দেখেন না যে, এত সহজে লাখ লাখ টাকা আয় করা কি আদৌ সম্ভব কিনা?

দেশের অগণিত মানুষ যখন ভুল পথে চালিত হয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন, তখন তাদের সঠিক পথ দেখানোর দায়িত্ব কার? নিশ্চয়ই সরকারের। একটি অসাধু প্রতিষ্ঠান কিভাবে সরকারের নাকের ডগায় বসে দেশব্যাপি এরকম প্রতারণা চালিয়ে নিতে পারে? প্রতিষ্ঠানটি অন্যায়ভাবে হাতিয়ে নিলো কোটি কোটি টাকা। অথচ কেউ তাদের কোন প্রশ্ন করেনি, কোথাও কোনো জবাবদিহিতাও নেই, কেউ বাধাও দেয়নি।

এমটিএফই মূলত একটি বহুজাতিক বিপণন বা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি। এর আগে ডেসটিনিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ ধরনের ব্যবসা করে মানুষের কাছ থেকে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। পাশাপাশি ই-কমার্স নাম দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সব নিয়ন্ত্রক সংস্থার সামনেই মানুষের কাছ থেকে বহু টাকা পকেটস্থ করেছে।

এমটিএফইর নামে একটি ওয়েবসাইট ও একটি অ্যাপ আছে, সেখানে বলা হয়েছে, তারা কানাডায় নিবন্ধিত। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা কারা, কারা চালায়, সে সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্যও পাওয়া যায়নি। ইন্টারনেটের সার্চ ইঞ্জিন গুগলের প্লে স্টোরে এই অ্যাপটি ২০২২ সালের জানুয়ারিতে আসে। এটি ১০ লাখের বেশিবার ডাউনলোড হয়েছে।

অবশ্য টাকা খোয়ানো ব্যক্তিরা বলছেন, তাঁরা যেভাবে লেনদেন করতেন, অ্যাপটি ব্যবহার করতেন, সেটি আর করা যাচ্ছে না। আর এমটিএফই এখন তাঁদের টাকাও দিচ্ছে না। অ্যাপটি বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া প্রসঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী গনমাধ্যমকে বলেছেন, বন্ধের জন্য এখন পর্যন্ত কেউ তাঁদের বলেনি। কোনো অভিযোগ তাঁরা পাননি। বরং তিনি বলেছেন বিষয়গুলো দেখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বাংলাদেশ ব্যাংক রয়েছে।

এমটিএফই অনলাইন বা ভার্চুয়াল দুনিয়ায় শেয়ার, ডলার, ক্রিপ্টোকারেন্সি (ভার্চুয়াল মুদ্রা, যেমন বিটকয়েন) কেনাবেচা করে বলে বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছিল। এরকম একটা টাউট কোম্পানি সাধারণ মানুষকে পথে বসিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে, এরজন্য অভিযোগ করতে হবে কেন, আর কেনইবা বন্ধ করতে বলতে হবে? এটা কি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্ব ছিল না যে এদের কার্যক্রমের উপর চোখ রাখা এবং প্রতারণা করার সময়ই ধরে ফেলা?

ঠিক এই কথাটিই বলেছেন, টেলিযোগাযোগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়ার জ্যেষ্ঠ পলিসি ফেলো আবু সাঈদ খান বলেছেন, সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে সর্বত্রভাবে মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। নাকের ডগা দিয়ে এগুলো হয়ে যাচ্ছে কিন্তু সরকার অপেক্ষা করছে তাদের কাছে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়ে অভিযোগ জানাবে। তারপর ব্যবস্থা নেবে। এটা তো সুশাসন হতে পারে না। (প্রথম আলো)

এবার দেখি বড় অংকের ঋণ জালিয়াতি বা খেলাপির দায়ে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে কিভাবে বিপাকে পড়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণের নামে ব্যাংক থেকে টাকা বের করে নেয়া হয় ঠিকই, কিন্তু টাকা আর ফেরত আসছে না। সেই টাকাও খেয়ে ফেলছে অসাধুজন। ফলে ওইসব ঋণ, খেলাপি হয়েই থেকে যাচ্ছে। বড় অংকের একটি ঋণ, খেলাপি হলেই ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যায় যায় অস্বাভাবিক হারে। যা সার্বিকভাবে ব্যাংকিং খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ব্যাংকের টাকা খেয়ে ফেলার আরেকটি উপায় হচ্ছে ’ঋণ অবলোপন’। ব্যাংক বিশ্লেষকদের ভাষায় যা ঋণ জালিয়াতির চেয়েও কম ভয়াবহ নয়। যে ঋণ একেবারে আদায় করা সম্ভব হয় না, তা অবলোপন করা হয়, অর্থাৎ মোট ঋণের পরিসংখ্যান খাতা-কলমে কম দেখানো হয়। প্রভাবশালীরা এর সুযোগ নিয়ে ঋণের টাকা খেয়ে ফেলার সুযোগ পাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংকের উচ্চপদস্থরা একে অন্যের ব্যাংক থেকে সমঝোতার ভিত্তিতে ভাগাভাগি করে বড় অংকের ঋণ নিয়ে থাকেন। যার বেশিরভাগই পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়, পরে যা অবলোপন করা হয়।

এদেশে যারা খাচ্ছেন, তারা মানুষের নিঃশ্বাস নেয়ার মতো মুক্ত জায়গা, হাঁটার পার্ক, গাছের ছায়া, নদী-নালা, খাল-বিল, বনভ‚মি সব হজম করার পরিকল্পনা করেছে। কক্সবাজারের বনাঞ্চলের ভেতর উন্মুক্ত কারাগার বানাতে চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের অধীনে থাকা কারা অধিদপ্তর। চারিদিকে এত জায়গা থাকতেও একটি সুরক্ষিত বনের ভেতরে কারাগার স্থাপন করতে হবে, বুঝতে পারছিনা।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশ। অথচ বন উজাড়, নদী ভরাট, পাহাড় কাটা, বনভূমি দখল করে সাফারি পার্ক বানানোতে আমরা থেমে নেই। এর আগে সংরক্ষিত শালবন উজাড় করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক বানাতে চেয়েছে বিসিক। আশংকার কথা হচ্ছে যে যেহেতু বাংলাদেশ বন উজাড় বন্ধ সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি, কাজেই যেকোন ছুতায় এই বন উজাড় হয়েই যেতে পারে।

বন উজাড়, পাহাড় কাটা ও নদী দখলের মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে অন্যের জমি বা সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ। এদেশের সর্বভুক মানুষগুলো গোগ্রাসে খাওয়া থামাতে পারছে না। তবে এই খাওয়াতে দেশের সাধারণ মানুষের কোনো অংশগ্রহণ নেই। একশ্রেণির ধনী, লুটেরা, অসৎ ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, আমলা ক্ষমতাধর মানুষ দেশের সম্পত্তি গোগ্রাসে গিলছে।

একই দেশ, একই সমস্যা অথচ মানুষের জীবনবোধ ও চাহিদার কত ফারাক, কতটা বৈপরীত্য। সম্প্রতি মহামান্য হাইকোর্ট জানতে চেয়েছেন “একটা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কত অর্থ প্রয়োজন? ” প্রশ্নটা আমাদেরও, কিন্তু উত্তর দেবে কে?

লেখক: যোগাযোগকর্মী।

এইচআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।