মানুষের কৌতূহলে স্থবির মাইলস্টোন
একটি দুর্ঘটনা বদলে দিয়েছে শিক্ষাঙ্গনের চেনা ছন্দ। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা যেন শুধু আকাশেই নয়, নেমে এসেছে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাঙ্গণেও। সপ্তম দিন পার হলেও থামেনি কৌতূহলী মানুষের ভিড়। প্রতিদিনই আশপাশের এলাকা থেকে অনেকে এসে জড়ো হচ্ছেন দুর্ঘটনাস্থলে কেউ একা, কেউ পরিবার নিয়ে। কেউ ভিডিও করছেন, কেউ দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখছেন ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ভয়াবহ চিহ্ন। এই অনবরত জনসমাগমে স্কুল প্রাঙ্গণে ফিরে আসেনি স্বাভাবিকতা। পাঠদানের মতো সংবেদনশীল সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে দ্বিধায় ভুগছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে চাইলেও ভিড় নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত সেই পথ মসৃণ নয়। ছবি: হাসান আদিব
-
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনার তৃতীয় দিন থেকে তারা ক্যাম্পাসে সাধারণ মানুষের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ২৭ জুলাই থেকে নবম-একাদশ শ্রেণির ক্লাস চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। কবে নাগাদ ক্লাস শুরু করা যাবে, তা নিয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।
-
মাইলস্টোনের দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, দলবেঁধে একের পর এক মানুষ প্রবেশ করছেন। তারা পুরো ক্যাম্পাস ঘুরছেন। ঘুরে ঘুরে সব খুঁটিনাটি দেখছেন।
-
কেউ কেউ ঘটনাস্থলে এসে ভিডিওকলে পরিবার-পরিজনদের দেখাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও আশপাশের পরিস্থিতি।
-
সবচেয়ে বেশি ভিড় মূল ঘটনাস্থল হায়দার আলী ভবনের সামনে। সেখানে সকাল থেকে জটলা। কেউ কেউ ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। সেজন্য সেখানে সিকিউরিটি গার্ড বসানো হয়েছে। এখন চলছে পুরো এলাকাটি ঘিরে দেওয়ার কাজ।
-
শুধু যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে জটলা করছেন তা নয়, অনেকে খুঁজছেন পাইলট তৌকির কোথায় পড়েছিলেন; সেই জায়গাও।
-
দীর্ঘসময় ক্যাম্পাসে অবস্থান করায় অনেকেই আবার শিক্ষার্থীদের হোস্টেল, অ্যাকাডেমিক ভবনের টয়লেটে ঢুকে পড়ছেন। এ নিয়ে পুলিশ ও সিকিউরিটি গার্ডদের সঙ্গে অনেককে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তেও দেখা যায়।