ছবিতে ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস
প্রায় দুই বছরের চরম দুর্ভোগ আর ট্রেন এলেই রেল ক্রসিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্টের অবসান হলো। সকালে খুলে দেয়া হলো টিটিপাড়া আন্ডারপাস। এর উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা এবং জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেওয়া
-
এসময় উপস্থিত ছিলেন আরেক বিশেষ সহকারী শেখ মইন উদ্দিন। যদিও কমলাপুরমুখী রাস্তার ওপর মেট্রোরেলের স্টেশন নির্মাণের কাজ চলতে থাকায় এ আন্ডারপাসের পুরোপুরি সুফল পেতে সময় লাগবে।
-
নিচ দিয়ে ৬ লেনের রাস্তার মধ্যে ৪ লেনে চলবে যান্ত্রিক যানবাহন। ৫ মিটার উচ্চতার গাড়ি নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে আন্ডারপাস দিয়ে। আর দুই পাশে রিকশা, সাইকেলের আলাদা লেনের পাশাপাশি পথচারীদের জন্য রাখা হয়েছে ফুটপাত।
-
প্যাডেল চালিত যানবাহনকে যেন বেশি ঢালুতে নামতে না হয় তার জন্য দুই পাশের লেনকে মাঝের ৪ লেনের থেকে উঁচু করা হয়েছে। এখন উপরে রেল আর নিচে অন্যান্য যানবাহন বাধাহীন ভাবে চলাচল করবে।
-
রোড মার্কিং, মাঝের ডিভাইডারে ফুলের গাছ, সড়কের দুই পাশে ল্যাম্পপোস্ট সবকিছু মিলিয়ে আন্ডারপাসের সৌন্দর্য এখন দৃশ্যমান। তবে এর পেছনে এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের সীমাহীন কষ্টের গল্পও আছে।
-
বিকল্প রাস্তা না থাকার কারণে রাস্তা বন্ধ করে তৈরি করতে হয়েছে আন্ডারপাস। যার কারণে দীর্ঘ পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়েছে পথচারী ও যানবাহনগুলোকে। নষ্ট হয়েছে মূল্যবান কর্মঘণ্টা।
-
মূল সড়ক থেকে ১১ মিটার নিচ দিয়ে আন্ডারপাস তৈরি করায় ভরা বর্ষায় যেন পানি না জমে তার জন্য আছে আধুনিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এটি খুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হচ্ছে। মতিঝিলের সঙ্গে মুগদা, মান্ডা, মানিকনগর ও সবুজবাগ এলাকার সংযোগ সড়কে ট্রেনের সিগনালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হবে না আর। তবে কমলাপুরে মেট্রোরেলের স্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্ডারপাসের শতভাগ সুফল পেতে সময় লাগবে।