এনটিআরসিএ নিয়োগ দাবিতে যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি
এনটিআরসিএ’র প্রথম থেকে ১২তম রেকমেন্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়োগপত্র প্রদানের দাবিতে রাজধানীতে সকাল থেকেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পূর্বঘোষিত ‘যমুনা ঘেরাও’ কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে আন্দোলনকারীরা প্রেসক্লাবের দিক থেকে যমুনার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। ছবি: মাহবুব আলম
-
দুপুর ২টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনেই আন্দোলনকারীদের পুরো কাফেলাকে আটকে দেয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বাধা পেয়ে সেখানেই বসে পড়েন শিক্ষক নিয়োগ প্রত্যাশীরা।
-
এসময় তারা ‘নিয়োগপত্র চাই, জীবন চাই’, ‘শিক্ষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’, ‘দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান চাই’ এমন বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
-
পুলিশি বাধা এলে আন্দোলনকারীরা সড়কের একাংশ দখল করে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এতে ওই এলাকায় যান চলাচলেও সাময়িক ধীরগতি দেখা যায়। জায়গাটিতে মুহূর্তেই তৈরি হয় প্রতিবাদের পরিবেশ হাতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার আর কণ্ঠে সমস্বরে দাবি।
-
অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, বছরের পর বছর অপেক্ষা করেও তারা নিয়োগপত্র পাচ্ছেন না। এনটিআরসিএ সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও তাদের জীবন অনিশ্চয়তায় ঠেকে আছে। তাই বাধা পেলেও আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসবেন না বলে জানান তারা।
-
মাঠের মতো করে রাস্তার ওপর বসে আছেন কয়েক’শ আন্দোলনকারী। সামনের সারিতে হাতে প্ল্যাকার্ড, পেছনে শ্লোগানে মুখর তরুণ-তরুণী শিক্ষকপ্রত্যাশীরা। আর ঠিক সামনেই দাঁড়িয়ে টহল দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।
-
আন্দোলনকারীরা জানান যতক্ষণ না তাদের ন্যায্য নিয়োগপত্রের সুষ্ঠু সমাধান হচ্ছে, ততক্ষণ তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে আবারও যমুনার পথে যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেন তারা।
-
একদিকে সরকারের নীতিমালা ও প্রক্রিয়ার জটিলতা, অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় থাকা শিক্ষকপ্রত্যাশীদের হতাশা এই দুইয়ের চাপে পরিস্থিতি ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে। প্রেসক্লাবের সামনে দুপুরের সেই দৃশ্য হয়তো স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে শিক্ষক নিয়োগ সমস্যার স্থায়ী সমাধান এখন সময়ের দাবি।