শুভ জন্মদিন জিতু আহসান
বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটকের জগতে অভিনয়ের মানচিত্রে কিছু নাম আজও দর্শকের মনে অনুরণিত হয়। সেই তালিকায় অন্যতম একজন হলেন জিতু আহসান। আজ তার জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে নতুন করে আলোচনায় আসে তার দীর্ঘ পথচলা, সাফল্য আর সংগ্রামের গল্প। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
-
জিতু আহসান জন্ম থেকেই এক সাংস্কৃতিক পরিবারে বড় হয়েছেন। তার বাবা মঞ্জুর আহসান ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এবং টেলিভিশনের প্রযোজক। সেই সূত্রেই ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। মাত্র শিশু বয়সে তিনি প্রথম অভিনয় করেন জনপ্রিয় নাটক ‘এই সেই’-এ। পর্দায় প্রথম আবির্ভাবেই তিনি নজর কাড়েন দর্শকের।
-
টেলিভিশনে ধারাবাহিক নাটকের উত্থান যেমন হয়েছে, তেমনি একক নাটকের ধারায়ও দর্শকরা পেয়েছেন অসাধারণ কিছু শিল্পী। সেই তালিকায় জিতু আহসান বরাবরই আলাদা। একেক চরিত্রে একেকভাবে নিজেকে বদলে ফেলা, অভিনয়ের সূক্ষ্মতা ফুটিয়ে তোলা-এটাই তাকে অনন্য করে তুলেছে।
-
জিতু আহসান একসময়কার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ভেজাল’, ‘লটারি’, ‘চরিত্রহীন’ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ের অসংখ্য নাটক ও টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন। ভিন্নধর্মী চরিত্র বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কখনো আপস করেননি। হাস্যরসাত্মক চরিত্র হোক কিংবা গম্ভীর কোনো সামাজিক বাস্তবতার গল্প-প্রতিটি ভূমিকাতেই তিনি রেখেছেন স্বকীয়তার ছাপ।
-
বাংলাদেশি নাটকে কিছু অভিনেতা দর্শকের কাছে চিরকাল ‘ভদ্র ছেলের’ প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকবেন। জিতু আহসান সেই জায়গার একজন উজ্জ্বল প্রতিনিধি। পর্দায় তার সংযত ও মার্জিত উপস্থাপনা দর্শককে মুগ্ধ করেছে বারবার।
-
তিনি শুধু অভিনয়শিল্পীই নন, একইসঙ্গে দায়িত্বশীল স্বামী ও বাবা। ব্যক্তিগত জীবনে পরিবারের প্রতি তার আন্তরিকতা এবং মিডিয়ার বাইরে সরল জীবনযাপন অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।
-
অভিনয়ে নিয়মিত না হলেও, সময়োপযোগী কাজের মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন শিল্পীর আসল পরিচয় জনপ্রিয়তার ওপর নির্ভর করে না, বরং অভিনয়ের মানের ওপরই টিকে থাকে। নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের কাছে তাই তিনি এক প্রেরণার নাম।