স্কুলজীবন থেকেই নাটক করতেন তামিম
বাংলা বিনোদন জগতে অনেক মুখ আসে, অনেকেই থেকে যায় আলোচনায়, আবার অনেকেই মিলিয়ে যায় সময়ের ধূলোয়। কিন্তু কিছু মানুষ আছেন, যারা শোরগোল নয়, বরং কাজের ভেতর দিয়েই জায়গা করে নেন দর্শকের মনে। তেমনই এক নাম তামিম মৃধা। অভিনয়ের ভুবনে তিনি যেন এক নিঃশব্দ শক্তি। ধীরে, স্থিরভাবে, নিজের মতো করে এগিয়ে চলেছেন। আজ তার জন্মদিন, তাই ফিরে দেখা যাক তার পথচলার গল্প। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
-
তামিম মৃধা ছোটবেলা থেকেই ছিলেন সাংস্কৃতিক চর্চার ভেতরে বেড়ে ওঠা একজন কৌতূহলী শিশু। স্কুলজীবনেই নাটক ও আবৃত্তিতে অংশ নিতেন। মঞ্চে দাঁড়িয়ে সংলাপ বলার সময় যে উত্তেজনা আর আত্মতৃপ্তি তিনি অনুভব করতেন, সেটিই হয়তো পরে তাকে টেনে এনেছিল পর্দার জগতে।
-
অভিনয়ের প্রতি এই টানটিই তাকে ধীরে ধীরে নিয়ে যায় নাটক, শর্টফিল্ম ও ওয়েবজগতের দিকে। শুরুটা ছোট হলেও, প্রতিটি চরিত্রে নিজেকে ভাঙার এক অদ্ভুত সাহস দেখা যায় তার মধ্যে।
-
বাংলা নাটকে তামিম মৃধার উপস্থিতি প্রথমদিকে ছিল নীরব অথচ শক্তিশালী। তার অভিনয়ে কোনো বাড়াবাড়ি বা কৃত্রিমতা নেই, বরং আছে বাস্তবতার নিখাদ ছোঁয়া।
-
দর্শক প্রথম তাকে চিনতে শুরু করে কয়েকটি জনপ্রিয় নাটকের মাধ্যমে, যেখানে তিনি কখনও প্রেমিক, কখনও সংগ্রামী যুবক, আবার কখনও বিভ্রান্ত কিন্তু মানবিক এক মানুষ হিসেবে হাজির হয়েছেন। প্রতিটি চরিত্রে তিনি রেখেছেন আলাদা স্বাদ-সংলাপে সংযম, দৃষ্টিতে গভীরতা, আর আবেগে সংবেদনশীলতা।
-
ওয়েব কনটেন্টে প্রবেশের পর তার অভিনয়ে আরও এক নতুন দিক উন্মোচিত হয়। সাহসী গল্প, আধুনিক নির্মাণ, এবং বাস্তবধর্মী চরিত্র-সব মিলিয়ে তার পারফরম্যান্স তরুণ প্রজন্মের কাছে হয়ে ওঠে এক নতুন প্রত্যাশার নাম।
-
তামিম মৃধার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তার নীরবতা। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতটা সরব নন, প্রচারের আলোয় নিজেকে তুলে ধরার তাড়া নেই তার। বরং তিনি বিশ্বাস করেন ভালো কাজ নিজেই কথা বলে।
-
এমন মনোভাবই তাকে আলাদা করে দিয়েছে। এই প্রজন্মের অনেক তরুণ অভিনেতা যেখানে স্পটলাইটের পেছনে ছুটছেন, তামিম সেখানে নিজের স্ক্রিপ্টে মন দেন, চরিত্রে গভীরে যান, এবং প্রতিবার নতুনভাবে দর্শককে চমকে দেন।
-
তামিমের অভিনয়জীবনের মূল বৈশিষ্ট্য হলো চরিত্রের গভীরে প্রবেশ করার চেষ্টা। তিনি কখনও চরিত্রকে অভিনয় করেন না, বরং চরিত্রে ‘বাস করেন’।
-
যে দৃশ্যে চোখে জল আসে, সেখানে তার চোখে সত্যিকারের আবেগ দেখা যায়। যে সংলাপ তিনি বলেন, তা শোনা যায় যেন তার নিজের জীবনের গল্পের মতো। এই আন্তরিকতাই তাকে দর্শকের কাছে সত্যিকারের শিল্পী হিসেবে তুলে ধরেছে।