মিমের জন্মদিনে জীবনের এক ঝলক
আজ ১০ নভেম্বর। এই দিনেই জন্ম নিয়েছিলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র বিদ্যা সিনহা সাহা মিম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি শুধু একজন অভিনেত্রী নন, হয়ে উঠেছেন এক অনুপ্রেরণা। যিনি প্রমাণ করেছেন গ্ল্যামারের আড়ালেও আছে মেধা, পরিশ্রম আর এক অদম্য আগ্রহের গল্প। ছবি: অভিনেত্রীর ফেসবুক থেকে
-
২০০৭ সাল। লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মঞ্চে এক তরুণীর আত্মপ্রকাশ, নাম তার বিদ্যা সিনহা মিম। চোখেমুখে এক ধরনের নিষ্পাপ আত্মবিশ্বাস, যা দর্শকের মন কাড়ে মুহূর্তেই। সেদিনের সেই জয়ই ছিল তার জীবনের বাঁক বদলের সূচনা।
-
এরপর ২০০৮ সালে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘আমার আছে জল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় পা রাখেন মিম।
-
শুরুটা ছিল সহজ নয়। কিন্তু প্রতিটি চরিত্রে নিজের সর্বোচ্চটা ঢেলে দিয়েছেন তিনি। টেলিভিশনের পর্দা থেকে বড় পর্দা, সব জায়গাতেই নিজের জায়গা পোক্ত করেছেন মিম। ‘জোনাকি আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০১৪ সালে অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর একে একে আসতে থাকে ‘সুইটহার্ট’, ‘সুলতান: দ্য সেভিয়র’, ‘দাগ’, ‘পরাণ’, ‘দামাল’ প্রতিটি ছবিতেই মিম নিজেকে নতুনভাবে চিনিয়েছেন দর্শকের কাছে।
-
বিশেষ করে ‘পরাণ’ ছবির তমা চরিত্রে তার অভিনয় যেন এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেয় তাকে। চরিত্রের আবেগ, ভেতরের দ্বন্দ্ব আর বাস্তবতার টানাপোড়েন সবকিছু তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন এমনভাবে, যা বাংলা সিনেমার সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম আলোচিত পারফরম্যান্স হিসেবে গণ্য হয়।
-
বিদ্যা সিনহা মিমের সবচেয়ে বড় শক্তি তার অভিনয় বেছে নেওয়ার ক্ষমতা। তিনি কখনো শুধু রঙিন পোশাক বা গ্ল্যামারস চরিত্রের মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি।
-
কখনো তিনি হয়েছেন গ্রামীণ প্রেক্ষাপটের নারী, কখনো শহুরে আধুনিক মেয়ে-আবেগ, ভালোবাসা, প্রতিবাদ আর সংগ্রামের প্রতিটি রূপে তিনি নিজের উপস্থিতি দৃঢ় করেছেন।
-
তার কাজের প্রতি নিষ্ঠা এতটাই প্রবল যে অনেক সময় মেকআপবিহীন চরিত্রেও তিনি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন সাহসের সঙ্গে। এই আত্মবিশ্বাসই তাকে আলাদা করে চেনায় অন্যদের ভিড়ে।
-
সনি পোদ্দারের সঙ্গে মিমের সংসার যেন বাস্তব জীবনের এক সুন্দর গল্প। ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের পারিবারিক সময়টুকু তিনি গুরুত্ব দিয়ে উপভোগ করেন।
-
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায় তাদের হাসিমুখের ছবি, যা প্রমাণ করে ক্যারিয়ার যত ব্যস্তই হোক, নিজের মানুষদের জন্য ভালোবাসার জায়গা তিনি আগলে রাখেন নিঃশব্দে।