নাগার্জুনা: তেলুগু চলচ্চিত্রের মহাবীর ও হৃদয়ের অভিনেতা
২৯ আগস্ট তারিখটি তেলুগু চলচ্চিত্রের ভক্তদের জন্য বিশেষ একটি দিন। কারণ এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন আক্কিনেনি নাগার্জুনা। যিনি শুধু একজন সফল অভিনেতা নন, বরং দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি তার বহুমুখী প্রতিভা ও ব্যতিক্রমী অভিনয়ের মাধ্যমে কেবল তেলুগু সিনেমায় নয়, সমগ্র ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
-
১৯৫৯ সালের এই দিনে তেলুগু পরিবারে তার জন্ম। তিনি অভিনেতা আক্কিনেনি নাগার্জুন সুরুপের ছেলে, যিনি নিজেও তেলুগু সিনেমার একজন প্রখ্যাত অভিনেতা ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই নাগার্জুনার মধ্যে অভিনয়ের প্রতি গভীর আগ্রহ জন্ম নেয়। পরিবারের সাংস্কৃতিক পরিবেশ তাকে স্বপ্ন দেখাতে উৎসাহিত করে।
-
নাগার্জুনার চলচ্চিত্র জগতে যাত্রা শুরু হয় ১৯৮০-এর দশকে। তার প্রথম সিনেমা ‘সামসারাম’ মুক্তির পর থেকেই তিনি দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন। এরপর তিনি বিভিন্ন ধরণের চরিত্রে অভিনয় করে দেখিয়েছেন তার বহুমুখী প্রতিভা। রোমান্টিক, অ্যাকশন, কমেডি কিংবা সামাজিক ছবি সব ক্ষেত্রেই তিনি সমান পারদর্শী।
-
নাগার্জুনার কেরিয়ারে অনেক হিট ছবি রয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-‘শ্রী কৃষ্ণা’, ‘মান্তি’, ‘জর্জ’, ‘ইন্দ্রা’ এবং ‘সিংহাম’। তার অভিনয় স্টাইল ছিল প্রাকৃতিক, হৃদয়স্পর্শী এবং দর্শকের সঙ্গে সহজেই সংযোগ স্থাপন করে।
-
তিনি শুধু একজন জনপ্রিয় নায়কই নন, বরং সফল প্রযোজক হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
-
নাগার্জুনা একজন পরিণত মানুষ এবং সমাজ সচেতন ব্যক্তি। তিনি বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগে অংশগ্রহণ করে সমাজের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। তার পরিবার ও ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে তিনি সাধারণত শান্ত, কিন্তু তার কাজের মাধ্যমে তিনি সবাইকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন। তিনি তেলুগু চলচ্চিত্রের পাশাপাশি টেলিভিশন ও সামাজিক কার্যক্রমেও সক্রিয়।
-
আক্কিনেনি নাগার্জুনার অবদান শুধু সিনেমায় সীমাবদ্ধ নয়, তিনি তরুণ প্রজন্মের জন্য এক আদর্শ, যিনি কঠোর পরিশ্রম, সৎচরিত্রতা এবং সৃজনশীলতার মিশেল। আজও দক্ষিণ ভারতের অনেক নতুন অভিনেতা ও শিল্পী তার পথ অনুসরণ করে চলেছেন।