টরন্টোতে জাহ্নবীর রাজকীয় উপস্থিতি
টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জাহ্নবী কাপুর হাজির হয়েছেন এমন এক লুকে, যা কেবল লাল গালিচার চমক নয়, বরং ভারতীয় হস্তশিল্পের সূক্ষ্ম সৌন্দর্যকেও ফুটিয়ে তুলেছে। আবু জানি ও সন্দীপ খোসলার হাতের তৈরি শিফন জামাওয়ার শাড়িতে সাজতে গিয়ে তিনি সকল ফ্যাশনপ্রেমীর নজর কাড়েন। স্টাইলিংয়ে ছিলেন রিয়া কাপুর, যিনি ঐতিহ্যের গভীরতা এবং সমকালীন গ্ল্যামারের নিখুঁত সমন্বয়ে এই লুকটি রচনা করেছেন। ছবি: জাহ্নবীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
-
শাড়িটি হাতে সূচিকর্ম করা, যেখানে উষ্ণ শরৎ রঙের সূতায় জটিল ফুলেল মোটিফ নকশিকাঁথার মতো ফুটে উঠেছে। শুধু শাড়িই নয়, ব্যাকলেস ব্লাউজটিও ছিল সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারিতে আচ্ছাদিত, যা লুকটিতে একযোগে সৌন্দর্য এবং শৈল্পিক ধারাবাহিকতা এনেছে।
-
আবু জানি ও সন্দীপ খোসলার দীর্ঘদিনের উদ্দেশ্যই হলো মৌলিকতা ও শিকড় অক্ষুণ্ন রেখে ভারতীয় হস্তশিল্পকে বিশ্ব মঞ্চে নতুনভাবে তুলে ধরা।
-
গয়নায় জাহ্নবী পরেছিলেন কাশ্মীরি দেজহুরের অনুপ্রেরণায় তৈরি সিলভার ইয়াররিংস, যা সাধারণত কাশ্মীরি কনেরা ব্যবহার করেন, কিন্তু এখানে এটি নতুনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
লুকের আরও একটি আকর্ষণীয় দিক ছিল ভিনটেজের ছোঁয়া। তিনি পরেছিলেন ৮০-এর দশকের একটি জামাওয়ার জ্যাকেট, যা পুনর্ব্যবহার করে নতুনভাবে এমব্রয়ডারির বর্ডার দিয়ে সাজানো হয়েছে। সঙ্গে ছিল রিয়া কাপুরের সংগ্রহ থেকে নেওয়া একটি অ্যান্টিক জামাওয়ার শাল, যার একপাশে হাতে তৈরি রেশমি ঝালর নকশা করা।
-
জাহ্নবী কাপুরের এই উপস্থিতি প্রমাণ করলো, ভারতীয় জামাওয়ার ও সূচিকর্ম কেবল অতীতের স্মারক নয়, বরং আজকের বৈশ্বিক ফ্যাশনের আলোচনায় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। তার লুক হয়ে উঠেছিল ভিনটেজ আর আধুনিকের, শৈল্পিকতা আর প্রলোভনের এক অনন্য মিলন।