‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ এর সেই ছোট্ট অঞ্জলি এখন তরুণী
বলিউডের কালজয়ী সিনেমা কুছ কুছ হোতা হ্যায় মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৮ সালে। শাহরুখ খান, কাজল আর রানি মুখার্জির সঙ্গে যিনি ছোট্ট অঞ্জলির চরিত্রে মিষ্টি হাসি আর সরল অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছিলেন, তিনি সানা সাঈদ। পর্দার সেই কিউট মেয়েটি আজ আর শিশু নেই, রূপে-গুণে হয়ে উঠেছেন পূর্ণাঙ্গ যুবতী। শিশুশিল্পী থেকে গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী ও ফ্যাশন আইকন-সানার এই যাত্রা দর্শকদের কাছে যেন এক বিস্ময়কর রূপকথার গল্প। ছবি: সানার ইনস্টাগ্রাম থেকে
-
১৯৮৮ সালের এই দিনে মুম্বাইয়ে সানার জন্ম। ছোটবেলায় তিনি পর্দায় যে ছাপ রেখেছিলেন, তা আজও স্মরণীয়। শুধু অভিনয় নয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি হয়ে উঠেছেন একজন মডেল এবং ফ্যাশন অনুপ্রেরণা।
-
সানা সাঈদ মাত্র দশ বছর বয়সে পা রাখেন বলিউডে। ১৯৯৮ সালে করণ জোহরের ব্লকবাস্টার কুচ কুচ হোতা হ্যায় সিনেমায় শাহরুখ খান ও কাজলের মেয়ে ‘আঞ্জলি’র ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি রাতারাতি পরিচিতি পান।
-
শিশুশিল্পী হিসেবে তার নিষ্পাপ অভিনয়, কিউটনেস ও স্বাভাবিক সংলাপ উপস্থাপন দর্শকদের মন জয় করেছিল। সেই চরিত্রই তাকে বলিউডে অমর করে দিয়েছে।
-
শিশুশিল্পী হিসেবে সফল হওয়ার পর সানা কিছুটা সময় পড়াশোনা এবং ব্যক্তিগত জীবনে মনোযোগ দেন। তবে অভিনয়ের প্রতি টান তাকে আবার ফিরিয়ে আনে সিনেমার জগতে।
-
২০১২ সালে স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার ছবিতে তিনি প্রাপ্তবয়স্ক চরিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। এখানে তিনি ‘তান্যা’-র ভূমিকায় গ্ল্যামারাস লুকে হাজির হয়ে দর্শকদের চমকে দেন। শিশুশিল্পী থেকে আধুনিক অভিনেত্রী-এই রূপান্তরই প্রমাণ করে তার বহুমুখীতা।
-
শুধু সিনেমাতেই নয়, সানা সাঈদ টেলিভিশনেও সক্রিয়। তিনি জারা নাচকে দিখা, নাচ বালিয়ে ও ঝলক দিখলা যার মতো জনপ্রিয় নাচের রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়ে নাচের দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। ছোটপর্দায় তার উপস্থিতি তাকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে দর্শকের কাছে পৌঁছে দেয়।
-
সানা সাঈদ শুধু অভিনেত্রী নন, তিনি একজন স্টাইল আইকনও। তার ফ্যাশন চয়েস সবসময়ই আলোচনায় থাকে।
-
ইনস্টাগ্রামে তিনি নিয়মিতই নতুন ট্রেন্ড, ভ্রমণ, ক্যাজুয়াল লুক কিংবা রেড কার্পেট আউটফিট শেয়ার করেন।
-
শর্ট ড্রেস, ট্রেন্ডি জাম্পস্যুট কিংবা গাউন-যেকোনো পোশাকে আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গি তার বিশেষত্ব।
-
শাড়ি বা লেহেঙ্গাতেও তিনি অনন্য আবেদন ছড়ান। ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মিশ্রণ ঘটিয়ে ভক্তদের মুগ্ধ করেন বারবার।
-
তার ফ্যাশন সেন্স কেবল পোশাকে সীমাবদ্ধ নয়, বরং ফিটনেস, হেয়ারস্টাইল এবং মেকআপের ক্ষেত্রেও অনুকরণীয়।
-
সানা সাঈদ খুব বেশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনায় আসতে চান না। তবে তিনি সামাজিক মাধ্যমে সবসময় সরব। তার ফলোয়াররা তাকে ফ্যাশন অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখেন।
-
শিশুশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়া সহজ, কিন্তু সেই জায়গা থেকে বের হয়ে প্রাপ্তবয়স্ক চরিত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা অনেক কঠিন। সানা সাঈদ সেই কঠিন কাজটিই করেছেন। আজ তিনি শুধু একজন অভিনেত্রী নন, বরং একজন আত্মবিশ্বাসী নারী, যিনি নিজস্ব পরিচয় তৈরি করেছেন অভিনয়, স্টাইল আর ব্যক্তিত্ব দিয়ে।