রূপ, প্রতিভা আর আত্মবিশ্বাসের দীপ্তিতে আলোকিত রাকুল
বলিউড ও দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা রাকুল প্রীত সিং নামটির সঙ্গে জুড়ে আছে এক অনন্য উজ্জ্বলতা। তিনি শুধু একজন অভিনেত্রী নন, বরং আধুনিক নারীর প্রতীক। যিনি একসঙ্গে সৌন্দর্য, মেধা ও দৃঢ়তার প্রতিচ্ছবি। আজ এই প্রতিভাবান অভিনেত্রীর জন্মদিনে স্মরণ করা যাক তার জীবনের গল্প, সংগ্রাম আর সাফল্যের যাত্রা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
-
১৯৯০ সালের এই দিনে নয়াদিল্লিতে রাকুলের জন্ম। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন প্রাণবন্ত, হাসিখুশি ও আত্মবিশ্বাসী। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেসাস অ্যান্ড মেরি কলেজ থেকে গণিতে স্নাতক করার সময়ই শুরু হয় তাঁর মডেলিং ক্যারিয়ার। কলেজের ফ্যাশন শো, বিজ্ঞাপন ও কনটেস্টে নিয়মিত অংশ নিতে নিতে একসময় সেলুলয়েডের জগতে প্রবেশ করেন তিনি।
-
মাত্র ১৮ বছর বয়সে, ২০০৯ সালে, তেলেগু চলচ্চিত্র গিলি দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। প্রথম সিনেমায় নবাগতার ভূমিকা হলেও তার পর্দায় উপস্থিতি সবাইকে চমকে দিয়েছিল।
-
তেলেগু, তামিল ও কন্নড় সিনেমায় দ্রুতই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন রাকুল। প্রতিটি ছবিতেই তিনি দেখিয়েছেন অভিনয়ের স্বাভাবিকতা ও স্ক্রিন প্রেজেন্সের শক্তি।
-
দক্ষিণ ভারতের দর্শক তাকে শুধু ‘হিরোইন’ হিসেবে নয়, বরং এক পরিশ্রমী ও নিবেদিত শিল্পী হিসেবে গ্রহণ করেছেন। প্রযোজক ও পরিচালকরা বলেন, রাকুলের সবচেয়ে বড় গুণ তাঁর পেশাদারিত্ব—সময়ানুবর্তিতা ও কঠোর অনুশীলন তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে।
-
২০১৪ সালে ইয়ারিয়ান ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন রাকুল প্রীত। তারপর একে একে আইয়ারি, দে দে প্যার দে, রানওয়ে থার্টি ফোর, ডক্টর জি, থ্যাঙ্ক গড-প্রতিটি সিনেমায় তিনি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
-
বিশেষ করে দে দে প্যার দে-তে অজয় দেবগনের বিপরীতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল সমালোচক মহলে। রোমান্টিক চরিত্র থেকে শুরু করে গম্ভীর নাটকীয় চরিত্র-সব জায়গাতেই তিনি দেখিয়েছেন বৈচিত্র্যের ছোঁয়া।
-
অভিনয়ের পাশাপাশি রাকুল প্রীত সিং একজন ফিটনেস আইকন। নিয়মিত যোগব্যায়াম, ব্যায়াম আর স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের অনুপ্রেরণায় ভরপুর তাঁর জীবন। তিনি একাধিক জিম ও ওয়েলনেস সেন্টারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, যেখানে তরুণ প্রজন্মকে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার বার্তা দেন।