হ্যারি পটারের রন, বাস্তবের রুপার্ট
২৪ আগস্ট হ্যারি পটার ভক্তদের কাছে বিশেষ। কারণ ১৯৮৮ সালের এই দিনে জন্মেছিলেন ব্রিটিশ অভিনেতা রুপার্ট আলেকজান্ডার লয়েড গ্রিন্ট, যাকে সারা বিশ্ব চেনে ‘রন উইজলি’ নামে। হ্যারি পটার সিরিজে তার প্রাণবন্ত অভিনয় কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু রুপার্ট গ্রিন্ট কেবল রন উইজলি চরিত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নন; তার জীবনের গল্প, শৈশবের স্মৃতি, ক্যারিয়ারের উত্থান ও ব্যক্তিগত যাত্রা সমানভাবে অনুপ্রেরণামূলক। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
-
১৯৮৮ সালের এই দিনে ইংল্যান্ডের এসেক্সে তার জন্ম। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবচেয়ে বড়। ছোটবেলা থেকেই অভিনয় ও নাটকের প্রতি তার প্রবল আগ্রহ ছিল। স্কুলে পড়াকালীন স্থানীয় থিয়েটারে শিশু চরিত্রে অভিনয় করতেন।
-
হ্যারি পটার সিরিজের জন্য যখন কাস্টিং কল দেওয়া হয়, তখন রুপার্ট মাত্র ১১ বছরের। একেবারেই অনভিজ্ঞ হয়েও তিনি সাহস করে অডিশন দেন এবং নিজের অভিনয়ের শক্তিতেই নির্বাচিত হন ‘রন উইজলি’ চরিত্রের জন্য।
-
২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্যা ফিলোসফারস স্টোন’ (সোরসারার্স স্টোন) ছবির মাধ্যমে শুরু হয় রুপার্টের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তার অধ্যায়।
-
জাদুর স্কুল হগওয়ার্টসে রন উইজলি চরিত্রে তার চপলতা, মজার সংলাপ ও সৎ বন্ধুত্বের ছাপ দর্শকদের মনে গভীরভাবে গেঁথে যায়। পুরো ৮টি ছবিতেই রুপার্ট ছিলেন মূল ত্রয়ীর অপরিহার্য অংশ হ্যারি, হারমায়োনি আর রনের দুঃসাহসিক কাহিনী তাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয়।
-
রুপার্ট নিজেও বলেছেন, রন উইজলি তার জীবনের অংশ হয়ে গেছে। এই চরিত্র তাকে যে ভালোবাসা ও সাফল্য দিয়েছে, তা অন্য কিছুর সঙ্গে তুলনাহীন।
-
বড় একটি চ্যালেঞ্জ ছিল হ্যারি পটারের পর নিজের পরিচয় গড়ে তোলা। অনেক চাইল্ড অ্যাক্টর এই ধাপে সংগ্রাম করেন, তবে রুপার্ট ধীরে ধীরে নতুন চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন।
-
চেরিবোম্ব (২০০৯) ছবিতে তাকে দেখা যায় সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে। ইন্টো দ্যা হোয়াইট (২০১২) ছবিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়। এছাড়া তিনি সন্যাচ সিরিজে অভিনয় করেন, যেখানে তার কমেডি টাইমিং নতুনভাবে আলোচিত হয়। তবে রুপার্ট সিনেমা ছাড়াও স্টেজ ও টেলিভিশনে কাজ করেছেন, যা তার বহুমুখী প্রতিভার প্রমাণ।
-
রুপার্ট সবসময়ই ব্যক্তিগত জীবন গোপন রাখতে পছন্দ করেন। তিনি গৃহস্থ জীবন ভালোবাসেন, গাড়ির প্রতি তার আলাদা আগ্রহ রয়েছে। ২০২০ সালে তিনি ও তার সঙ্গী জর্জিয়া গ্রুম একটি কন্যা সন্তানের বাবা-মা হন। কন্যার জন্মের খবর তিনি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করলে ভক্তরা উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠেন।
-
অভিনয় জীবনের বাইরে রুপার্ট গ্রিন্ট একজন দানশীল মানুষ। শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা ও ক্যান্সার সচেতনতায় তিনি নিয়মিত দান করেন। অনেক বড় তারকার মতো গ্ল্যামারাস জীবন না বেছে তিনি সাধারণ, সহজ জীবনযাপন পছন্দ করেন।