ইন্দোনেশিয়ার বহুমুখী প্রতিভার এক উজ্জ্বল নাম রিয়ান্টি
ইন্দোনেশিয়ার বিনোদন অঙ্গনের পরিচিত এক নাম রিয়ান্টি কার্টরাইট। তিনি শুধু একজন অভিনেত্রী নন, পাশাপাশি মডেল, প্রেজেন্টার এবং গায়িকা হিসেবেও নিজের অবস্থান পাকা করেছেন। নানা চরিত্রে অভিনয় করে, ভিন্ন ভিন্ন রূপে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন এই শিল্পী। আজ তার জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে তাকে ঘিরে নতুন করে আলোচনায় আসে তার সাফল্যের গল্প। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
-
১৯৮৩ সালের এই দিনে ইংল্যান্ডের বানবেরি শহরে রিয়ান্টি কার্টরাইটের জন্ম। তার বাবা ছিলেন ইংরেজ এবং মা ইন্দোনেশিয়ান। দুই সংস্কৃতির মিশ্রণে বড় হওয়ায় তিনি ছোট থেকেই ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। অল্প বয়সে পরিবারসহ ইন্দোনেশিয়ায় ফিরে আসেন এবং এখানেই শৈশব কাটান। বিদেশি রক্তের প্রভাবের কারণে তার চেহারায় যেমন বৈচিত্র্য দেখা যায়, তেমনি চিন্তাভাবনায়ও ফুটে ওঠে খোলামেলা দৃষ্টিভঙ্গি।
-
রিয়ান্টির ক্যারিয়ার শুরু হয় মডেলিংয়ের মাধ্যমে। তার পরিশীলিত ব্যক্তিত্ব, মুগ্ধকর হাসি এবং ভিন্নধর্মী সৌন্দর্য তাকে দ্রুতই আলাদা করে তোলে। পরে টেলিভিশন প্রোগ্রামের প্রেজেন্টার হিসেবেও তিনি জনপ্রিয়তা পান। তবে প্রকৃত খ্যাতি আসে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে।
-
২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আইফেল... আই এম ইন লাভ’ সিনেমায় রিয়ান্টি তার অভিনয় দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। সিনেমাটি শুধু ব্যবসায়িক সাফল্য পায়নি, বরং তাকে তরুণ দর্শকের কাছে প্রিয় মুখে পরিণত করেছে।
-
রিয়ান্টি শুধু রোমান্টিক চরিত্রেই সীমাবদ্ধ থাকেননি। তিনি ড্রামা, কমেডি থেকে শুরু করে থ্রিলার-সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
-
২০০৮ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ক্যাসান্দ্রো শ্যাফারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পরও ক্যারিয়ারে সক্রিয় থেকেছেন রিয়ান্টি। কাজের ফাঁকে তিনি সমাজসেবামূলক কার্যক্রমেও অংশ নেন, বিশেষ করে শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার বিষয়গুলোতে।
-
বর্তমানে রিয়ান্টি কার্টরাইট শুধু একজন তারকা নন, বরং একজন অনুপ্রেরণাদায়ী নারী। তিনি পরিবার, ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবন-সবকিছু সুন্দরভাবে সামলাচ্ছেন। তার অনন্য রূপ, প্রতিভা এবং সংগ্রামী মানসিকতা তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে।