ক্যামেরন ডিয়াজের সেরা ৫টি সিনেমা
হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ও আবেদনময়ী অভিনেত্রী ক্যামেরন ডিয়াজ। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি দর্শককে মুগ্ধ করে আসছেন। কখনো রোমান্টিক চরিত্রে, কখনো বা অ্যাকশন–কমেডির রঙে, আবার কখনো গম্ভীর অভিনয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন নিজের বহুমুখী দক্ষতা। চলুন দেখে নেওয়া যাক ক্যামেরন ডিয়াজের ক্যারিয়ারের সেরা পাঁচটি সিনেমা, যেগুলো তাকে এনে দিয়েছে সাফল্য, খ্যাতি আর ভক্তদের অন্তহীন ভালোবাসা। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
-
দ্য মাস্ক (১৯৯৪): ক্যামেরন ডিয়াজের ক্যারিয়ারের মোড় ঘোরানো সিনেমা এটি। অভিনয়ের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই যখন তিনি ‘দ্য মাস্ক’-এ অভিনয়ের সুযোগ পান, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো তিনি পারেবেন না। কিন্তু মুক্তির পর ছবিটি বছরের অন্যতম ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে পরিণত হয়। জিম ক্যারির সঙ্গে তার রসায়ন দর্শকের মন জয় করে নেয়, আর রাতারাতি তিনি পরিচিত হয়ে যান বিশ্বজুড়ে।
-
মাই বেস্ট ফ্রেন্ডস ওয়েডিং (১৯৯৭): রোমান্টিক কমেডির ভক্তরা এই সিনেমাকে আজও মনে রাখেন। জুলিয়া রবার্টসের মতো তারকার সঙ্গে অভিনয় করেও ক্যামেরন নিজের উপস্থিতি স্পষ্ট করে তুলেছিলেন। ছবিতে তার প্রাণবন্ত অভিনয় ও স্বতঃস্ফূর্ততা দর্শককে মুগ্ধ করে। এ সিনেমা প্রমাণ করে দেয়, তিনি শুধু সৌন্দর্য দিয়েই নয়, বরং অভিনয় দিয়েও দর্শককে ধরে রাখতে পারেন।
-
দেয়ারস সামথিং অ্যাবাউট ম্যারি (১৯৯৮): এটি বলা যায় ক্যামেরন ডিয়াজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমাগুলোর একটি। রোমান্টিক কমেডি ঘরানার এই ছবিতে তিনি ‘ম্যারি’ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নেন। ছবির জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল যে, এটি তাকে আন্তর্জাতিক তারকাখ্যাতির শীর্ষে নিয়ে যায়। মজার কাহিনি, তার হাস্যরসাত্মক অভিনয় এবং প্রাণবন্ত উপস্থিতি আজও দর্শকের মনে অম্লান।
-
চার্লিস অ্যাঞ্জেলস (২০০০): এ সিনেমায় ক্যামেরন ডিয়াজকে দেখা যায় একেবারে ভিন্ন রূপে। নারীশক্তি, অ্যাকশন ও স্টাইল-সব মিলিয়ে ছবিটি হয়ে ওঠে দর্শকের কাছে বিশেষ। লুসি লিউ ও ড্রু ব্যারিমোরের সঙ্গে তার দুর্দান্ত সমন্বয় ছবিটিকে বানায় স্মরণীয়। পরে এর সিক্যুয়েলও আসে, যা সমান জনপ্রিয়তা পায়। ‘চার্লিস অ্যাঞ্জেলস’-এর মাধ্যমে ক্যামেরন দেখিয়ে দেন, তিনি শুধু রোমান্টিক চরিত্রেই নয়, অ্যাকশন–ঘরানাতেও সমান স্বচ্ছন্দ।
-
ভ্যানিলা স্কাই (২০০১): টম ক্রুজের বিপরীতে অভিনীত এই মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার ছবিটি ক্যামেরনের জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। ভিন্নধর্মী চরিত্রে তিনি যে কতটা গভীর অভিনয় করতে পারেন, তা এখানে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ছবির কাহিনি, সাসপেন্স ও তার অভিনয় সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হয়। বলা হয়, এই সিনেমাই তাকে ‘সিরিয়াস অভিনেত্রী’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।