সাহসী সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি বিদ্যা বালান
নিজেকে বারবার নতুনভাবে খুঁজে পাওয়ার নামই বিদ্যা বালান। চারপাশের চেনা আলোছায়ার ভিড়ে হঠাৎই যেন উদয় হলেন এক ভিন্ন আলোয়। সম্প্রতি একটি ফ্যাশন ম্যাগাজিনের কভারে উঠে এল তার একেবারে নতুন অবয়ব-ছোট চুল, ডগায় সোনালি হাইলাইট, চোখে আভিজাত্য আর মুখে দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের রেখা। ছবি বলছে, বিদ্যার কাঁধ ছোঁয়া চুলে হালকা ব্লন্ডের ছোঁয়া যেন এক ধরনের আত্মপ্রকাশ; একই সঙ্গে কোমল, সাহসী ও আধুনিক। দীর্ঘদিন ধরে লম্বা চুলে অভ্যস্ত দর্শকের কাছে এই পরিবর্তন এক সাহসী বার্তা। সৌন্দর্য মানে ধাঁচ ধরে রাখা নয়, বরং নিজেকে ভাঙা-গড়া ও নতুনভাবে গড়ে তোলা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
-
এই ফটোসেশনের জন্য বিদ্যার বেছে নেওয়া দুটি পোশাক যেন ঠিক তার মনের কথাই বলে। একটিতে ফ্ল্যামিঙ্গো গোলাপি রঙের ঝলমলে গাউন-যেন নারীত্বের কোমলতা। অন্যটিতে সিলভার ফ্লোর-লেংথ গাউন, যেখানে দৃপ্ততা ও জৌলুশ পাশাপাশি দাঁড়িয়ে। সিকুইন আর বিডসের কাজ পোশাককে দিয়েছে নান্দনিক ঔজ্জ্বল্য, যা তার সফট গ্ল্যাম মেকআপের সঙ্গে একত্রে হয়ে উঠেছে নিখুঁত সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি।
-
তার মেকআপে ছিল ঘন ভ্রু, সূক্ষ্ম আইলাইনার, মভ গ্লসি ঠোঁট এবং শিমারি গোলাপি-বাদামি টোনের চোখ; সব মিলিয়ে এক ধরণের পরিণত আত্মবিশ্বাস। এমন সাজ যেন বলে দেয়, বিদ্যা কেবল সাজেন না, প্রতিবার রূপ নেন।
-
বিদ্যা বরাবরই এক নিজস্ব ধারা তৈরি করে এসেছেন, সনাতনের সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটিয়ে। তিনি শাড়ির ভাঁজে যেমন অনায়াসে হাঁটেন, তেমনি ওয়েস্টার্ন পোশাকে ভাঙেন তথাকথিত নারীসুলভতার সংজ্ঞা।
-
‘পিকক ম্যাগাজিন’ যখন লিখেছে, ‘নারীদের গল্প বদলাচ্ছে’ তখন বিদ্যার ছবিই তার প্রমাণ। বিনোদনের দুনিয়ায় যেখানে পুরুষতান্ত্রিক ছায়া দীর্ঘকাল ধরে বিদ্যমান, সেখানে বিদ্যা বালান নিজের গল্প নিজেই লিখেছেন। তিনি একা হাতে দেখিয়েছেন, কেবল নারীকেন্দ্রিক কাহিনী দিয়েও পর্দা মাতিয়ে রাখা সম্ভব।
-
এই পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে এক ধরনের সামাজিক বার্তা-ছোট চুল বা হাইলাইট শুধু বাহ্যিক সাজ নয়, এটি নিজেকে নিজের মতো করে বাঁচার সাহস। এটি আত্মবিশ্বাসের আলোকরেখা, যা বিদ্যার চোখে-মুখে স্পষ্ট।