অফ-হোয়াইট এলিগ্যান্স, এ যেন স্বর্ণজ্যোতিতে সজ্জিত আধুনিক দেবীর উত্থান
আলো, সৌন্দর্য আর ঐতিহ্যের এক সুমধুর মিশ্রণ এই তিনটি শব্দই যেন যথেষ্ট প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সাজকে বর্ণনা করতে। তার পরিধেয় শাড়ির প্রতিটি ভাঁজ, প্রতিটি কারুকাজ এবং প্রতিটি গয়নার উজ্জ্বলতা যেন বলে সৌন্দর্য কখনও কেবল দেখা নয়, অনুভব করা যায়। ছবি: প্রিয়াঙ্কার ইনস্টাগ্রাম থেকে
-
প্রিয়াঙ্কার পরা অফ-হোয়াইট শাড়িটির সরলতার ভেতর রয়েছে রাজকীয় গাম্ভীর্য। লেসের সূক্ষ্ম কাজ আর সোনালি সুতা বোনা বর্ডার একে দিয়েছে সমৃদ্ধতা, যেন পুরনো দিনের অভিজাত রুচি আর আধুনিক নান্দনিকতার নিখুঁত মেলবন্ধন।
-
শাড়ির ব্লাউজটি হালকা স্বচ্ছ লেস–ওয়ার্কে তৈরি, যা নারীত্বের কোমলতাকে নান্দনিক এক পরিসরে তুলে ধরে। ছবিতে তার ভঙ্গিমা নীরব হলেও উপস্থিতি গম্ভীর-দৃশ্যমান এই দ্বৈততা সাজটিকে আরও জীবন্ত করে তোলে।
-
তার গহনা যেন পুরো সাজের ভাষা হয়ে উঠেছে। বড় আকারের চোকার নেকলেস, কপালের টিকলি, ঝুমকা এবং হাতে পরা ভারী গোল্ড ব্রেসলেট সব মিলিয়ে এক রাজকন্যাসুলভ আবেদন তৈরি করেছে। প্রতিটি গয়নাতে খচিত সূক্ষ্ম অলঙ্করণ যেন সোনার ভেতর গল্প আঁকে।
-
আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো চুলের সাজ। বেণির গিঁঠে সোনালি অলংকার বাঁধা-যা প্রাচীন ভারতীয় রাজকীয় স্টাইলের এক আধ্যাত্মিক স্মৃতি বহন করে। পেছন দিকের ছবিতে এই চুলের গহনা আরও স্পষ্ট -একই সঙ্গে নারীত্ব ও শক্তির এক ভারসাম্য রচনা করেছে।
-
তার কোমরে থাকা অলঙ্কারটি বিশেষভাবে নজর কাড়ে। কোমরবন্ধ বা কামরবন-যা দক্ষিণ এশীয় বিয়ের সাজে একসময় অপরিহার্য ছিল, এখন আবার ফিরে আসছে নতুন স্টাইলে। এই নারীর সাজে সেই ভুলে যাওয়া ঐতিহ্য যেন ফিরে এসেছে গর্ব করে।
-
এই অনুষঙ্গ শুধু সৌন্দর্য বাড়ায় না, বরং পুরো লুকটিকে এক ধরনের ‘গভীরতা’ দেয় যেন সাজের প্রতিটি অংশের নিজস্ব ভূমিকা আছে।
-
এই সাজ আমাদের মনে করিয়ে দেয় ফ্যাশন শুধু বাহ্যিক সাজ নয়, এটি অনুভূতি প্রকাশের এক মাধ্যম।
-
ঐতিহ্যকে যেভাবে প্রিয়াঙ্কা ধারণ করেছেন এবং আধুনিকতার সঙ্গে বুনে নিয়েছেন তা আজকের ফ্যাশনের এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকতে পারে।