বলিউডের ফ্যাশন সম্রাটের জন্মদিন আজ
আজ বলিউডের ফ্যাশন দুনিয়ার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র মনীশ মালহোত্রার জন্মদিন। যিনি শুধু চলচ্চিত্রের জন্যই নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার ফ্যাশন মানচিত্রকেই বদলে দিয়েছেন। তিন দশকের পরিশ্রম, নিত্যনতুন ধারণা এবং অনন্য ডিজাইন ভাষার মাধ্যমে তিনি পর্দার নায়ককে রূপ দিয়েছেন রাজকীয় কৌঁটিউরে, সাধারণ মানুষকে দেখিয়েছেন আত্মবিশ্বাসী স্টাইলের পরিচয়। বিশেষ এই দিনে ফিরে দেখা যায় তার সেই যাত্রা, যেটি শুরু হয়েছিল ছোট বুটিকের সেলফ-এক্সপেরিমেন্ট থেকে আর থেমেছে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন শো-এর রেড কার্পেটে। বলিউডের ফ্যাশন সম্রাটের এই গল্প শুধু গ্ল্যামার নয়-এটি শিল্প, শ্রম এবং অনুপ্রেরণার এক নিখুঁত সংমিশ্রণ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
-
১৯৬৬ সালের এই দিনে জন্ম নেওয়া বলিপাড়ার বলিষ্ঠ ফ্যাশন পরিচর্যাকারী, সেলিব্রিটি স্টাইলিস্ট ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড নির্মাতা মনীশ মালহোত্রার জীবনের গল্প সহজ নয়; এটি বিস্তৃত ভিশন, শিল্পপ্রেম আর কঠোর পরিশ্রমের প্রতিফলন।
-
মনিশ মালহোত্রার পথচলার শুরু মুম্বাইয়ের এক সাধারন বুটিক থেকে। যেখানে তিনি মানচিত্র গুলো সাজাতে, পড়ে বসাতে ও ফ্যাব্রিক নিয়েই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেন। ১৯৮৭–এ ঘর থেকেই কাস্টম কৌঁটিউর অর্ডার নেওয়া শুরু করেন।
-
কিন্তু সেই ‘ছোট্ট শুরু’ ধীরে ধীরে বদলে যায়। ১৯৯০–র দিকে বলিউডে পা রেখেছিলেন কস্টিউম স্টাইলিস্ট হিসেবে; আর ১৯৯৫–এ ‘রঙলীলা’ ছবির জন্য কস্টিউম ডিজাইন করে পেয়েছেন ‘বেস্ট কস্টিউম ডিজাইনারের ফিল্মফেয়ার পুরস্কার’। এই সাফল্য ছিল তার কেরিয়ারের প্রথম বড় মাইলস্টোন।
-
এক সময় বলিউড–নাটকের মঞ্চার্থ পোশাক ডিজাইনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল; কিন্তু মনিশ মালহোত্রা সেই দিগন্ত প্রসারিত করেছেন। শুধু কস্টিউম নয়, নিজের নামেই তৈরি করেছেন ব্র্যান্ড। তার জনপ্রিয়তা এখন রাজকীয় কৌঁটিউর, ব্রাইডাল ও মেনʼস উইয়ার থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন শো পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে।
-
রাজ্য, ভাষা, দেশের সীমা পেরিয়ে এখন মনিশ মালহোত্রার ডিজাইন পরেন দক্ষিণ এশিয়ার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি, বিয়ের আসর হোক বা রেড কার্পেট শো। তার ডিজাইনে মিশেছে আধুনিক রাজকীয়তার ছোঁয়া, ঐতিহ্যগত বুনন আর গ্ল্যামারির মেলবন্ধন।
-
মনিশ মালহোত্রা প্রমাণ করেছেন, ফ্যাশন শুধু বস্ত্র নির্বাচন নয়; এটি এক ধরনের ভাষা যার মধ্যে লুক, আত্মবিশ্বাস, ব্যক্তিত্ব এবং সাংস্কৃতিক ধারাই মিশে আছে। পোশাক মানুষের পরিচয়, আত্ম-উপস্থাপনা এবং সামাজিক মর্যাদা গড়ার এক শক্তিশালী মাধ্যম।