নিটোরের অনিয়মই যেন নিয়ম
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। এখানের সব অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। ছবি: সালাহ উদ্দিন জসিম
-
সেবা নিতে আসা রোগীদের দীর্ঘ সারি, নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি টাকা ছাড়া মেলে না সেবা।
-
বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরও ভোগান্তির শেষ নেই। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে শত শত মানুষ। প্রবেশ করা বা হাঁটাও কঠিন।
-
বেশিরভাগ রোগী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত। কেউই একা একা হাঁটাচলা করতে পারছেন না। তাই সঙ্গে এসেছেন একাধিক স্বজন। হাসপাতালের কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
-
টিকিট কাউন্টার থেকে ডাক্তারের রুম পর্যন্ত যেতে রোগীদের একপ্রকার যুদ্ধ করতে হয়। তবুও মেলে না কাঙ্ক্ষিত সেবা।
-
নিটোর কর্তৃপক্ষ বলছে, ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি রোগীর ভিড়। রোগীর স্বজনরাও বলছেন, সকাল থেকে যুদ্ধ করেই চিকিৎসা নিতে হয়।
-
বেশি রোগীর চাপে চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদেরও হিমশিম অবস্থা। কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করা যায় না। অসন্তুষ্টি নিয়েই ফিরে যেতে হয় অনেক রোগীকে।
-
চাপের বিষয়ে ওপিডি টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জ লিয়াকত হোসেন বলেন, সাধারণত ৯০০-১১০০ রোগী আসে প্রতিদিন। আজ একটু বেশি, প্রায় ১৪০০ রোগী সকাল থেকে টিকিট কেটেছে।
-
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহির্বিভাগে ১০টি রুমে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৩০ জন ডাক্তার চিকিৎসা দেন। তবে সামর্থ্যের তুলনায় রোগীর চাপ অনেক বেশি।
-
একই চিত্র জরুরি বিভাগেও। সেখানেও রোগী নিয়ে স্বজনরা ছুটে এসেছেন। কয়েক মিনিট দাঁড়ালে একজন মানুষের স্বাভাবিক থাকা দায়।