হজমে সহায়ক বিটরুট
অনিয়মিত খাবার, কম পানি পান ও শীতের প্রভাব সব মিলিয়ে হজমের সমস্যা অনেকের নিত্যসঙ্গী হয়ে ওঠে। পেট ভার লাগা, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা অস্বস্তি দূর করতে খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর সবজি রাখা জরুরি। এমনই একটি উপকারী সবজি হলো বিটরুট। আঁশসমৃদ্ধ এই সবজিটি হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তাই হজমে সহায়ক হিসেবে বিটরুটের গুরুত্ব আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
-
শুধু হজমেই সহায়ক নয়, রক্তস্বল্পতা দূর করা থেকে শুরু করে শরীর গরম রাখা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শীতকালে বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা অনস্বীকার্য।
-
বিটরুটে রয়েছে প্রাকৃতিক আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড, যা রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। শীতে অনেকের শরীরে দুর্বলতা ও ক্লান্তি দেখা দেয়, বিটরুট তা কমাতে কার্যকর। শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখা জরুরি। বিটরুটে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা ও পুষ্টি উপাদান শরীরে শক্তি জোগায়, ফলে শরীর ভেতর থেকে উষ্ণ থাকে।
-
বিটরুটে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিটালেইন, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। শীতকালে সর্দি-কাশি ও সংক্রমণ এড়াতে এটি বিশেষভাবে উপকারী।
-
শীতকালে অনেকের হজমের সমস্যা দেখা দেয়। বিটরুটে থাকা আঁশ হজম ভালো রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। বিটরুটে থাকা ভিটামিন ও খনিজ ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, ত্বককে রাখে উজ্জ্বল ও আর্দ্র। চুলের গোড়াও শক্ত হয়।
-
বিটরুটে থাকা নাইট্রেট রক্তনালিকে প্রসারিত করে, ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক। শীতকালে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি যাদের বেশি, তাদের জন্য বিটরুট উপকারী। শীতের অলসতা কাটাতে বিটরুট দারুণ কাজ করে। এটি শরীরের অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে কর্মক্ষমতা উন্নত করে।