মাথায় চুলকানি? স্বস্তির ছোঁয়া দেবে এই ৫ প্রাকৃতিক তেল
বর্ষা মানেই কেবল রোমান্টিক বৃষ্টি নয়, সঙ্গে আসে নানা ধরনের স্বাস্থ্য ও ত্বকের সমস্যা। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা বাড়লেও প্যারাডক্সিক্যালি আমাদের স্ক্যাল্প হয়ে পড়ে আরও বেশি অস্বস্তিকর। কখনো অতিরিক্ত ঘাম, কখনো ভ্যাপসা আবহাওয়া-সব মিলিয়ে মাথার ত্বকে জমতে থাকে ময়লা, বাড়ে খুশকির প্রকোপ। আর সেই সঙ্গে শুরু হয় বিরক্তিকর চুলকানি, যা মাঝেমধ্যেই প্রকাশ্যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে। অনেক সময় এই সমস্যা থেকে জন্ম নেয় চুল পড়ার মতো ভয়াবহ বিপত্তিও। তবে ভয় নেই! হাতে যদি থাকে কিছু নির্ভরযোগ্য প্রাকৃতিক তেল, তাহলে বর্ষার এই অস্বস্তি থেকেও মিলতে পারে স্বস্তি। চলুন জেনে নেই এমন ৫টি তেলের কথা, যা নিয়ম করে ব্যবহার করলে মাথার চুলকানি হবে অতীত। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
-
নারিকেল তেল: শুষ্কতা থেকেই মূলত মাথায় চুলকানি শুরু হয়। এই ক্ষেত্রে গরম নারিকেল তেল যেন দারুণ এক ওষুধ। দু’চামচ নারিকেল তেল হালকা গরম করে তুলোর সাহায্যে সারা মাথায় লাগান। এরপর পাঁচ মিনিট মাসাজ করে তেলটা সারারাত রেখে দিন। সকালে হালকা গরম পানিতে কোমল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার এই রুটিন মানলেই অনেকটা স্বস্তি পাবেন।
-
টি ট্রি অয়েল: প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক এই তেল খুশকি ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধে দারুণ কার্যকর। কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল তুলোয় নিয়ে মাথার তালুতে লাগান। হালকা হাতে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করে দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে স্ক্যাল্প থাকবে হাইড্রেটেড, চুলকানিও অনেকটা কমে যাবে।
-
অলিভ অয়েল: অর্গানিক অলিভ অয়েল হালকা গরম করে চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। এরপর সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। অলিভ অয়েলের ময়েশ্চারাইজিং গুণ মাথার শুষ্কতা কমায় ও চুলে পুষ্টি জোগায়। সপ্তাহে অন্তত দু’বার এই যত্ন নিলে মাথার চুলকানির সঙ্গে চুলের রুক্ষতাও অনেকটাই কমে যাবে।
-
পেপারমিন্ট অয়েল: স্ক্যাল্পে ঠান্ডা অনুভূতি এনে দেয় পেপারমিন্ট তেল। আধ চা চামচ পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েলের সঙ্গে দেড় চা চামচ নারিকেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে সারা মাথায় লাগান। এক ঘণ্টা রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে দুইবার করলেই চুলকানির সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।
-
আর্গান অয়েল: আর্গান অয়েল শুধু চুলকানি কমায় না, চুলে আনে এক অনন্য উজ্জ্বলতা। খাঁটি আর্গান তেল নিয়ে হালকা হাতে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। তেলটা ভালোভাবে চুলে মিশে গেলে সারারাত রেখে দিন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এই তেল ব্যবহার করলেই দেখবেন, মাথার অস্বস্তি যেমন কমেছে, তেমনি চুলের জেল্লাও বেড়েছে।