শুধু রাজা নয়, এক দেশপ্রেমিক নাগরিক উইলেম-আলেকজান্ডার
যখনই কোনো দেশের রাজা বা রাষ্ট্রপ্রধানের কথা মনে পড়ে, তখনই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সিংহাসন, গাম্ভীর্য আর শাসনের দৃশ্যপট। কিন্তু উইলেম-আলেকজান্ডারের নাম আসলে সেই দৃশ্যপটে যুক্ত হয় এক নির্ভেজাল মানবিকতা, দেশের প্রতি মমত্ববোধ, আর নিজের পরিচয়কে প্রভাবের আগে কর্তব্য দিয়ে চিনে নেওয়ার এক অনন্য নজির। ছবি: সংগৃহীত
-
ডাচ রাজা উইলেম-আলেকজান্ডারের জন্মদিন আজ। ১৯৬৭ সালের এই দিনে নেদারল্যান্ডসের উত্রেখটে জন্ম তার। মানবিক এই রাজার পুরো নাম উইলেম-আলেকজান্ডার ক্লাউস জর্জ ফার্দিনান্দ।
-
তার মা রানী বিয়াট্রিক্সের সিংহাসন ত্যাগের পর ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল সিংহাসনে আরোহণ করেন তিনি।
-
উইলেম-আলেকজান্ডার শুধু একজন সাংবিধানিক রাজা নন, তিনি নেদারল্যান্ডসের মানুষের জীবনে বাস্তবিক অর্থেই এক অনুপ্রেরণা।
-
তার শৈশব কেটেছে এক সাধারণ শিক্ষার্থীর মতো করেই, আর জীবন চলার পথে রাজপ্রাসাদের দেয়াল পেরিয়ে পৌঁছে গেছেন দেশের প্রতিটি প্রান্তে। নাগরিক জীবনের খুঁটিনাটি তাকে স্পর্শ করেছে, আর সেখান থেকেই গড়ে উঠেছে তার দেশপ্রেমিক সত্তা।
-
কোভিড-১৯ মহামারির সময় ডাচ জনগণ যখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিল, তখন রাজা উইলেম-আলেকজান্ডার শুধু রাষ্ট্রীয় বার্তাই দেননি, নিয়মিত সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাহস আর মানবিক বার্তা নিয়ে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা জাতীয় সংকটে তার উপস্থিতি বরাবরই ছিল স্পষ্ট, আন্তরিক ও কার্যকর।
-
প্রতিবছর ২৭ এপ্রিল ডাচ জনগণ ‘কনিংসডাগ’ পালন করে রাজা উইলেম-আলেকজান্ডারের জন্মদিন উপলক্ষে। তবে এ উৎসব শুধু রাজাকে ঘিরে নয়, বরং দেশের নাগরিকদের ঐক্য ও আনন্দকে উদযাপন করাই এর মূল লক্ষ্য। রাজাও সেদিন থাকেন জনতার সঙ্গে, রাজপথে, সাধারণ মানুষের পাশে।