শরতের বার্তা নিয়ে শহরতলীতে কাশফুলের মেলা
প্রকৃতির রঙিন ক্যালেন্ডারে শরৎ যেন এক বিশেষ অধ্যায়। ভরা বর্ষার সবুজ আভা ম্লান হয়ে এলে, ঠিক তখনই বাংলার প্রকৃতি সাজতে শুরু করে এক অনন্য সাজে। সেই সাজের অন্যতম প্রতীক শুভ্র কাশফুল। সাদা মেঘের মতো দুলে ওঠা এই ফুল শুধু নয়নসুখ নয়, বরং মনে আনে এক প্রশান্তি, এক অনাবিল আনন্দ। ছবি: মাহবুব আলম
-
রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র থেকে খুব দূরে নয়, আফতাবনগরের প্রান্তে দেখা মেলে সেই শুভ্রতার।
-
বিস্তীর্ণ জমি জুড়ে সেজে উঠেছে কাশফুলের বাগান।
-
শরতের বিকেলে সেখানে গেলে মনে হয় শহরের কোলাহল হঠাৎ করেই থেমে গেছে।
-
সাদা ফুলের সমারোহ যেন ঢেকে দিয়েছে ধুলোমাখা ব্যস্ত শহরকে।
-
বিকেল নামতেই দেখা যায় ভিড় জমছে পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের।
-
কাশবনে দাঁড়িয়ে কেউ নিজের একান্ত ছবি তুলছে, কেউ আবার দলবেঁধে হাসি-আনন্দে কাটাচ্ছে মুহূর্তগুলো।
-
ক্যামেরার ক্লিকের সঙ্গে সঙ্গে ফুটে উঠছে প্রকৃতির স্নিগ্ধ সৌন্দর্য।
-
অনেকের কাছে এটি এখন শরতের অপরিহার্য ‘ফটো-স্পট’।
-
কাশফুল শুধু ফটোগ্রাফির উপাদান নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও সাহিত্যেও বহুল ব্যবহৃত এক প্রতীক।
-
শরৎ মানেই সাদা কাশফুল, নীল আকাশ আর মন ভরানো হাওয়া। সেই চিরচেনা অনুভূতি নতুন করে ছুঁয়ে যাচ্ছে নগরবাসীর মনকে।
-
আফতাবনগরের এই কাশফুল হয়ে উঠেছে স্বস্তির এক আশ্রয়। যেখানে কয়েক ঘণ্টার জন্য হলেও মানুষ খুঁজে পায় প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড় সংযোগ। হয়তো এ কারণেই শরতের বিকেলগুলোতে কাশফুলের মাঠ ভরে ওঠে মানুষের পদচারণায়।
-
শহরের ভেতরে এমন প্রকৃতির কাছাকাছি আসার সুযোগ বিরল। তাই ঢাকার নাগরিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে শুভ্র কাশফুল হয়ে উঠেছে সবার প্রিয় সঙ্গী।
-
সাদা রঙের এই নীরবতা যেন বলছে কোলাহলের মাঝেও প্রকৃতি আছে, সৌন্দর্য আছে আর আছে মনের প্রশান্তি খোঁজার পথ।