ঢাকার রোদ, মানুষ ও অদৃশ্য ভোগান্তি
ঢাকার রাস্তাগুলো আজ যেন আগুনে ঝলসে উঠেছে। সূর্য দফায় দফায় মানুষের মাথার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে, আর তাপমাত্রা যেন দেহের সঙ্গে সঙ্গে মনকেও গলিয়ে দিচ্ছে। যারা অফিস, ব্যবসা বা জরুরি কাজে ঘর থেকে বের হয়েছেন, তাদের জন্য এই রোদ কেবল অসুবিধা নয় এক প্রকার অদৃশ্য যুদ্ধ। ছবি: মাহবুব আলম
-
রোদে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজনের কপালে ঘাম, চোখে রোদ, মুখে অস্বস্তি। শুধু শারীরিক নয়, মানসিক ক্লান্তি-কষ্টও এই তাপে বেড়ে যায়।
-
গরমের এই প্রখরতা, সূর্যের তীব্রতা শুধুই আবহাওয়ার নয়, শহরের অবকাঠামো ও কম ছায়াযুক্ত পথের ফলও।
-
রোদে দীর্ঘক্ষণ থাকা মানেই দেহের পানি কমে যাওয়া, মাথা ভারী হওয়া, মন স্থির না থাকা।
-
অফিসের কাজে যেসব মানুষ ঘরে থেকে শুরু করে গাড়ি বা রিকশায় চলাচল করেন, তারা দিনের শেষ নাগাদ এক ধরনের অদৃশ্য ক্লান্তির বোঝা সঙ্গে নিয়ে ফিরেন।
-
তবে এই ভোগান্তির মাঝেও দেখা যায় সহমর্মিতা। দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে রোদ থেকে পথচারীকে ঢেকে রাখা ছায়া, রিকশাওয়ালার হালকা চিল্লানো, শিশুকে কোলে নিয়ে পানি পান করানো- এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলো যেন ঢাকার রোদকে সামান্য সহনীয় করে তোলে।
-
গরমের দিনে রাস্তায় বের হওয়া অপ্রয়োজনীয় হলে কিছুটা সময় ঘরে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ। পর্যাপ্ত পানি পান করা, হালকা কাপড় পরা, টুপি বা ছাতা ব্যবহার করা, এমনকি ছায়াযুক্ত পথ বেছে নেওয়াও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এসব ছোট ছোট সচেতনতা রোদে থাকা মানুষের শরীর ও মনের ওপর প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।
-
ঢাকার রোদ শুধু তাপ নয়-এটি মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে একটি অদৃশ্য পরীক্ষা। যে শহরে প্রতিদিন মিলিত হয় লক্ষাধিক মানুষ, সেই শহরের রাস্তাগুলো আজ যেন বলছে, ‘মানুষের ধৈর্য ও সংযমই আজকের রোদকে জয় করবে।’
-
শেষ পর্যন্ত, প্রখর রোদেও ঢাকার মানুষ শিখে যাচ্ছে-ক্লান্তি, ভোগান্তি ও তাপের মাঝে মানবিকতার ছোট ছোট স্পর্শই এই শহরকে বাঁচিয়ে রাখে।