টেনিস কোর্টের নিঃশব্দ বিজয়িনী অ্যাশলে বার্টি
টেনিস কোর্ট মানেই গর্জন, করতালি, প্রতিযোগিতা আর আলো। সেখানে কেউ চ্যাম্পিয়ন হলেই তার নামের পাশে জুড়ে যায় খ্যাতি, মিডিয়ার উন্মাদনা আর স্পটলাইট। কিন্তু এমন একজন চ্যাম্পিয়নের গল্প আছে, যিনি সব আলো থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখে চলেছেন নিজের মতো সাদামাটাভাবে। বলছি অস্ট্রেলিয়ান টেনিস খেলোয়াড় অ্যাশলে বার্টির কথা। আজ তার জন্মদিন। ছবি: ফেসবুক থেকে
-
১৯৯৬ সালের এই দিনে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে জন্ম তার। খুব ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন অ্যাশলে। মাত্র চার বছর বয়সে টেনিস হাতে নিয়েছিলেন, আর সেখান থেকেই শুরু এক অসাধারণ যাত্রা।
-
তিনি কখনো জাঁকজমককে ভালোবাসতেন না। শান্ত, আত্মবিশ্বাসী ও গভীর মনোযোগী এই মেয়েটি চুপচাপ খেলে গেছেন, আর একসময় বিশ্ব টেনিসের নম্বর ১ খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন।
-
২০১৯ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন জয় করে তিনি সবাইকে চমকে দেন।
-
২০২১ সালে উইম্বলডন এবং ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে প্রমাণ করে দেন শুধু সেরা নন, তিনিই আধুনিক টেনিসের এক অনন্য মুখ।
-
২০২২ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে সবাইকে অবাক করে দিয়ে টেনিস থেকে অবসর নেন অ্যাশলে বার্টি।
-
তার অবসরে চমকে যায় বিশ্ব। সবার একটাই প্রশ্ন, ‘এত অল্প বয়সে? ক্যারিয়ারের তুঙ্গে উঠে অবসর কেন?’ বার্টির সহজ উত্তর, ‘আমি পূর্ণতা পেয়েছি। আমি নিজের শান্তি খুঁজে পেয়েছি।’তার এই সিদ্ধান্ত বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়। কারণ এটা ছিল একজন চূড়ান্ত সফল অ্যাথলেটের সচেতন, আত্মবিশ্বাসী এবং আত্ম-সম্মানজনক বিদায়।