টেনিস ইতিহাসের এক নিখুঁত যোদ্ধা জোকোভিচ
একটা সময় ছিল, যখন রজার ফেদেরার আর রাফায়েল নাদালের দ্বৈরথে মেতে থাকত টেনিস বিশ্ব। তারা যেন টেনিসের জগতের অপ্রতিরোধ্য দুই রাজা। ঠিক তখনই টেনিস আঙিনায় আবির্ভাব ঘটল এক তরুণের, যিনি ধীরে ধীরে রাজসিংহাসনের তৃতীয় দাবিদার হয়ে উঠলেন। সময়ের সঙ্গে শুধু দাবিদার নয়, ইতিহাসের অন্যতম সেরা টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। বলছি নোভাক জোকোভিচের কথা। ছবি: ফেসবুক থেকে
-
১৯৮৭ সালের এই দিনে সার্বিয়ার বেলগ্রেড শহরে জন্ম তার। স্নিগ্ধ পাহাড়ঘেরা এলাকায় বেড়ে ওঠা ছোট্ট জোকোভিচের পরিবার ছিল মধ্যবিত্ত। বাবা সর্দান ছিলেন স্কিইং প্রশিক্ষক আর মা দিয়ানা জোকোভিচ ছোট একটি রেস্টুরেন্ট চালাতেন।
-
শৈশবে ফুটবল আর স্কিইংয়ের প্রতি ঝোঁক থাকলেও ছয় বছর বয়সে যখন টেনিস হাতে তোলেন, তখন থেকেই যেন ভিন্ন কিছু শুরু হয়েছিল।
-
মাত্র ১২ বছর বয়সে সের্বিয়া ছাড়িয়ে প্রশিক্ষণের জন্য জার্মানি চলে যান জোকোভিচ। সেখান থেকেই শুরু তার পেশাদার টেনিস ক্যারিয়ারের পথচলা।
-
২০০৩ সালে পেশাদার টেনিস শুরু করেন তিনি। প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেন ২০০৮ সালে, অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। এরপর একে একে দাপট দেখাতে শুরু করেন উইম্বলডন, ইউএস ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেনে।
-
টেনিস ইতিহাসে প্রথম পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে ‘ডাবল গোল্ডেন স্ল্যাম’ অর্থাৎ চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামই কমপক্ষে দুইবার করে জয়ের কীর্তি গড়েছেন তিনি।
-
তার সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল ধারাবাহিকতা, মনঃসংযোগ আর শারীরিক ফিটনেস। পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ম্যাচেও তার মুখে ক্লান্তির ছাপ থাকত না। মানসিক দৃঢ়তা, প্রতিকূলতা জয় করার ক্ষমতা এবং কৌশলগত বুদ্ধিমত্তাই তাকে করেছে ‘সর্বকালের অন্যতম সেরা’।
-
২০১৪ সালে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা ইয়েলেনা রিস্টিচকে বিয়ে করেন জোকোভিচ। তাদের সংসারে রয়েছে দুই সন্তান, এক ছেলে ও এক মেয়ে।
-
পরিবারকে সব সময়ই অগ্রাধিকার দেন তিনি। টেনিস কোর্টে যতটা যুদ্ধংদেহী, পরিবারের সঙ্গে ততটাই স্নেহশীল এক মানুষ।