জন্মদিনে জানুন রবি শাস্ত্রীর ২২ গজের বাইরে ও ভেতরের গল্প
ক্রিকেট শুধু একটি খেলা নয়, অনেকের জীবনে এটি এক ধরনের আবেগ, এক রকম শিল্প। আর এই খেলার মঞ্চে কিছু চরিত্র এমনভাবে নিজেদের গড়েছেন, যারা সময়ের সীমানা ছাড়িয়ে রয়ে গেছেন মানুষের মনে। রবি শাস্ত্রী সেই রকমই এক নাম যিনি খেলোয়াড়, কোচ এবং ধারাভাষ্যকার-সবখানেই রেখে গেছেন উজ্জ্বল ছাপ। ছবি: ফেসবুক থেকে
-
আজ তার জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক কেমন ছিল ২২ গজের লড়াইয়ের সঙ্গে ব্যক্তিত্বের যাত্রাপথ।
-
১৯৬২ সালের এই দিনে ভারতের মুম্বাই শহরে জন্ম নেন রবি শাস্ত্রী। তার পুরো নাম রবিশঙ্কর জয়দ্রিত শাস্ত্রী।
-
ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি তার গভীর আগ্রহ। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেট ছিল তার নেশা। ডন বসকো হাই স্কুল ও পরে রামনরাইন রুইয়া কলেজে পড়াকালীন সময়ে ক্রিকেটের মঞ্চে তার প্রতিভা নজর কাড়তে থাকে।
-
১৯৮১ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে রবি শাস্ত্রীর। একজন বাঁহাতি অলরাউন্ডার হিসেবে বল হাতে যেমন ছিলেন কার্যকরী, ব্যাট হাতে ছিলেন ধীর-স্থির অথচ আস্থাবান। তার ক্যারিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় অর্জন ১৯৮৫ সালে বেঞ্চেস ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে ‘চ্যাম্পিয়ন অব চ্যাম্পিয়নস’ খেতাব জয়।
-
খেলার জীবন শেষে রবি শাস্ত্রী জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হিসেবে। তার স্বতঃস্ফূর্ত ভঙ্গি, বলিষ্ঠ কণ্ঠ আর উপস্থিত বুদ্ধি তাকে অনন্য করে তোলে। ধারাভাষ্যে যেমন সাবলীল, তেমনি ক্যামেরার সামনেও আত্মবিশ্বাসী।
-
২০০৭ সালের পর থেকে ভারতের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে তাকে ধারাভাষ্যকার হিসেবে দেখা গেছে। কিন্তু এখানেই থেমে থাকেননি শাস্ত্রী।
-
২০০৭ সালের পর থেকে ভারতের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে তাকে ধারাভাষ্যকার হিসেবে দেখা গেছে। কিন্তু এখানেই থেমে থাকেননি শাস্ত্রী।
-
২০১৭ সালে তিনি হয়ে ওঠেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ। বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলের সাফল্যের পেছনে যে শক্তিশালী পরিকল্পক ছিলেন, সে তালিকায় রবি শাস্ত্রীর নাম একেবারে উপরের দিকে।
-
ব্যক্তিজীবনে রবি শাস্ত্রী সবসময়ই ব্যক্তিগত বিষয়কে আড়ালে রাখতে পছন্দ করতেন। ১৯৯০ সালে রীতু শাস্ত্রী নামের এক ক্লাসিকাল ডান্সারকে বিয়ে করেন তিনি। যদিও পরে তাদের সম্পর্ক বিচ্ছেদের দিকে গড়ায়। তাদের একমাত্র কন্যা আলেকা শাস্ত্রী।
-
রবি শাস্ত্রীর একটি বড় পরিচয় হলো তার ব্যক্তিত্ব। স্টাইলিশ পোশাক, সংক্ষিপ্ত অথচ চিন্তাশীল কথা এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাকে ভিন্ন রকম এক জনপ্রিয়তায় পৌঁছে দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বা সংবাদ সম্মেলনে তার বক্তব্য ঘিরে প্রায়ই তৈরি হয় আলোচনা।