শুভ জন্মদিন ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ শোয়েব আখতার
গতির ঝড় তুলে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের কাঁপিয়ে তোলা ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম ভয়ংকর পেসার শোয়েব আখতার আজ পা দিলেন অর্ধশতকে। ১৯৭৫ সালের এই দিনে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জন্ম এই কিংবদন্তি ফাস্ট বোলারের, যিনি ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ নামে পরিচিত। ছবি: ফেসবুক থেকে
-
আধুনিক ক্রিকেটে গতিময় বোলারদের তালিকায় শোয়েব ছিলেন যেন এক জীবন্ত আতঙ্ক।
-
লম্বা রান-আপ, কাঁধের পেশীর দুর্দান্ত শক্তি আর ক্ষিপ্রগতির ডেলিভারি তাকে এনে দিয়েছিল অন্য রকম মর্যাদা।
-
মাঠে তার আগ্রাসী মনোভাব ও খেলার প্রতি উচ্ছ্বাস প্রতিবারই নজর কেড়েছে ভক্তদের।
-
গতির জন্যই তার নাম চিরদিনের জন্য জায়গা করে নিয়েছে রেকর্ডবুকে। ২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার (১০০.২ মাইল) বেগে বল করে শোয়েব গড়েন বিশ্বরেকর্ড যা আজও অক্ষত।
-
ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনিই প্রথম বোলার যিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ১০০ মাইলের গতির সীমা অতিক্রম করেছিলেন।
-
১৯৯৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। ক্যারিয়ারে পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন ৪৬টি টেস্ট, ১৬৩টি ওয়ানডে ও ১৫টি টি-টোয়েন্টি। টেস্টে ২৫.৬৯ গড়ে ১৭৮ এবং ওয়ানডেতে ২৪.৯৭ গড়ে ২৪৭ উইকেট নিয়েছেন এই গতি তারকা।
-
১৯৯৯ সালের এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের বিপক্ষে পরপর দুই বলে রাহুল দ্রাবিড় ও শচীন টেন্ডুলকারকে বোল্ড করা ছিল তার ক্যারিয়ারের এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত-বিশেষ করে শচীনের বিপক্ষে করা সেই ইয়র্কার আজও ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতিতে তাজা।
-
তবে সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গে বিতর্কও কম পিছু নেয়নি শোয়েবকে। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ, শৃঙ্খলাভঙ্গ, সতীর্থদের সঙ্গে বিরোধ এসব কারণে একাধিকবার দল থেকে ছিটকে গেছেন তিনি।
-
ঘন ঘন ইনজুরিও ক্যারিয়ারের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ২০১১ সালের বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান।
-
অবসরের পর শোয়েব আখতার নতুন যাত্রা শুরু করেন ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হিসেবে। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে স্পষ্টভাষী মতামত ও গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে দ্রুত নতুন ভক্তগোষ্ঠী তৈরি করেছেন তিনি।