ইংলিশ ক্রিকেটের নিবেদিত প্রাণ মিকি স্টুয়ার্ট
ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন কিছু নাম আছে, যারা শুধু মাঠে খেলেই নয়, মাঠের বাইরেও নিজেদের অবদান রেখে গেছেন নিঃশব্দে। ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ মিকি স্টুয়ার্ট তাদেরই একজন। আজ তার জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক তার পথচলার কিছু মুহূর্ত। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
-
১৯৩৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লন্ডনে জন্ম নেন মাইকেল জন ‘মিকি’ স্টুয়ার্ট।
-
ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ ছিল প্রবল।
-
ফুটবল এবং ক্রিকেট-দুই খেলাতেই সমান তালে দক্ষতা দেখিয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন ক্রিকেটার হিসেবে।
-
মিকি স্টুয়ার্টের নাম উচ্চারণ হলেই প্রথমেই আসে সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের কথা। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় দুই দশক তিনি সারেকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
-
বাঁহাতি মিডল-অর্ডার ব্যাটার হিসেবে ছিলেন নির্ভরযোগ্য, পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও দেখিয়েছেন অসাধারণ দক্ষতা। সেই সময় সারেতে একাধিক শিরোপা জয়ে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
-
১৯৬০-এর দশকে ইংল্যান্ড জাতীয় দলে ডাক পান মিকি স্টুয়ার্ট। যদিও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়নি, তবু তিনি প্রমাণ করেছিলেন-দেশের হয়ে খেলার দায়িত্ব কতটা গর্বের। তার দৃঢ় মানসিকতা ও নিবেদন সতীর্থদের অনুপ্রাণিত করেছিল।
-
খেলার মাঠে যিনি ছিলেন অনড় যোদ্ধা, খেলা শেষে তিনিই হয়ে ওঠেন গাইড।
-
১৯৮৬ সালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ম্যানেজার ও কোচের দায়িত্ব পান মিকি স্টুয়ার্ট। কঠিন সময়ের মধ্যে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। অনেক তরুণ ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার গঠনে তার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।
-
মিকি স্টুয়ার্ট কেবল নিজেই নন, তার পরিবারও ক্রিকেটে অবদান রেখেছে।
-
মিকি স্টুয়ার্টের ছেলে অ্যালেক স্টুয়ার্ট ইংল্যান্ডের অন্যতম সফল অধিনায়ক ও উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিংবদন্তি হয়ে উঠেছেন। বলা যায়, ক্রিকেট তাদের রক্তে মিশে আছে।
-
খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৮ সালে ওবিই (অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার) খেতাব পান মিকি স্টুয়ার্ট। এটি শুধু তার ব্যক্তিগত সাফল্যের নয়, বরং ইংলিশ ক্রিকেটে তার নিরলস অবদানের প্রতীক।
-
তিনি এখনও ইংল্যান্ডের ক্রিকেট মহলে এক সম্মানিত নাম।
-
নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়রা তার জীবন থেকে শেখে দায়িত্বশীলতা, কঠোর পরিশ্রম আর খেলার প্রতি ভালোবাসা।