বিশেষ দিনে জানুন মাশরাফির জানা-অজানা কিছু
বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে এক অনন্য তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজার জন্মদিন আজ। ১৯৮৩ সালের এই দিনে নড়াইলের এক সাধারণ পরিবারে তার জন্ম। তিনি শুধু একজন ক্রিকেটার নন, বরং এক জীবন্ত অনুপ্রেরণা, এক অদম্য লড়াকু মনোভাবের প্রতীক। নিজের অধ্যবসায় ও সাহসিকতায় হয়ে উঠেছেন কোটি মানুষের হৃদয়ের নায়ক। ছবি: মাশরাফির ফেসবুক থেকে
-
ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলায় অদম্য ছিল মাশরাফি। নড়াইলের মাঠে ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, এমনকি ভলিবলেও ছিলেন সমান পারদর্শী। কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসাই তাকে টেনে নেয় এই খেলায়।
-
দ্রুত বোলার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে শুরু হয় তার যাত্রা-যেখানে বলের গতির সঙ্গে ছিল আগ্রাসী মানসিকতা ও অদম্য ইচ্ছাশক্তি।
-
২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’-এর। সেই সময়কার বাংলাদেশ দল ছিল গঠনপর্বে। মাশরাফির বোলিংয়ে যেমন ছিল গতি, তেমনি ছিল আগুনঝরা প্রতিশোধস্পৃহা। বারবার চোটে ভুগেও হাল ছাড়েননি তিনি। হাঁটুর অপারেশন শেষে মাঠে ফেরা তার কাছে ছিল যুদ্ধ জয়ের সমান।
-
বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি, তিনি হয়ে উঠেছিলেন দলের মানসিক ভরসা। আর যখন নেতৃত্বের ভার নেন, তখনই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে ঘটে যায় এক অবিশ্বাস্য রূপান্তর।
-
মাশরাফির নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ক্রিকেট পায় নতুন আত্মবিশ্বাস। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে তার অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশ পৌঁছে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে-যা ছিল দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এক মাইলফলক।
-
তিনি ছিলেন সেই অধিনায়ক, যিনি হার মানতে জানতেন না, যিনি নিজের আহত হাঁটু নিয়েও মাঠে নেমেছেন দলের জন্য। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররা শিখেছে জয়ের মানে, শিখেছে কিভাবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে হয় বড় মঞ্চে।
-
মাশরাফির ক্যারিয়ারে রয়েছে ৭টিরও বেশি বড় সার্জারি। তবুও তিনি প্রতিবার ফিরে এসেছেন। অনেক সময় বলা হয়, তিনি হাঁটুর জোরে নয়, মনোবলের জোরে খেলেছেন। তার এমন প্রত্যাবর্তন শুধু ক্রিকেটপ্রেমীদের নয়, বরং যে কোনো সংগ্রামী মানুষের জন্যই অনুপ্রেরণার গল্প।