বিরাট কোহলির জীবনের ১০টি জানা-অজানা তথ্য
বিরাট কোহলি ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে এমনই এক নাম যা এখন প্রজন্মের অনুপ্রেরণা। যিনি শুধু রান করেন না, আবেগ দিয়ে জয় করেন কোটি ভক্তের হৃদয়। আজকের কোহলি হতে হলে কত ত্যাগ, কত পরিশ্রম, কত বেদনার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে তা জানলে অবাক হতে হয়। তার জন্মদিনে চলুন জেনে নেওয়া যাক, এই আধুনিক ক্রিকেট কিংবদন্তির জীবনের ১০টি জানা-অজানা তথ্য, যা হয়তো অনেকেরই অজানা। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
-
২০০৬ সালে এক রণজী ট্রফি ম্যাচ চলাকালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিরাটের বাবা প্রেম কোহলি হঠাৎ মারা যান। কিন্তু পরদিন সকালে মাঠে নামেন তিনি দলের হয়ে অসম্পূর্ণ ইনিংস শেষ করতে। বাবার জন্য কান্না চেপে ৯০ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি। ম্যাচ শেষে তবেই বাড়ি ফেরেন বাবাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।
-
২০০৮ সালে কোহলির নেতৃত্বে ভারত জয় করে আইসিসি আন্ডার-১৯ ওয়ার্ল্ড কাপ। সে টুর্নামেন্টেই নজরে আসে এক তেজি তরুণ যার চোখে আগুন আর ব্যাটে আত্মবিশ্বাস। সেখান থেকেই শুরু হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দরজায় কড়া নাড়ার যাত্রা।
-
অনেকেই জানেন না, বিরাটের শৈশবের ডাকনাম ছিল ‘চিকু’। স্কুলের সময় তার চুল ছিল ছোট করে কাটা, দেখতে খরগোশের মতো লাগত। তখন কোচ রাজকুমার শর্মা মজার ছলে ডাকতেন ‘চিকু’। পরে সতীর্থরা নামটি বহাল রাখেন, এমনকি মহেন্দ্র সিং ধোনিও তাকে মাঠে এই নামে ডাকতেন।
-
ক্রিকেটারদের ফিটনেস বিপ্লবের সূচনা যিনি করেছেন, তিনি কোহলি। অথচ তিনি সম্পূর্ণ নিরামিষভোজী।
-
বিরাট কোহলি মানেই রান তাড়া করার রাজা। যখনই ভারত বড় লক্ষ্য তাড়া করে, প্রায় সব ম্যাচেই কোহলি ছিলেন নায়ক। তার ওয়ানডে সেঞ্চুরির অর্ধেকের বেশি এসেছে রান চেজে।
-
২০১৭ সালে ধোনির পর ভারতীয় দলের অধিনায়ক হন কোহলি। মাঠে তার আগুনে মেজাজ অনেক সময় সমালোচিত হলেও, এর পেছনে লুকিয়ে থাকে এক গভীর ভালোবাসা দেশের জন্য জেতার অদম্য ইচ্ছা। তার নেতৃত্বে ভারত টেস্ট র্যাংকিংয়ে টানা কয়েক বছর এক নম্বরে ছিল এবং প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জয় করে ইতিহাস গড়ে।
-
বলিউড তারকা আনুশকা শর্মার সঙ্গে কোহলির প্রেম শুরু বিজ্ঞাপনের সেটে। তারপর ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এক দৃঢ় সম্পর্ক। পরে ২০১৭ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। বর্তমানে আইডল তারকা কাপল হিসেবে তাদের নাম সবার মুখে মুখে থাকে।
-
২০২০ সালের পর তার ব্যাটে আসে খরার সময়। প্রায় তিন বছর সেঞ্চুরি পাননি। তখন অনেকেই বলেছিলেন, শেষ হয়ে গেছে কোহলি। কিন্তু ২০২২ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে তিনি জানিয়ে দেন, চ্যাম্পিয়নরা হার মানে না, তারা ফিরে আসে আরও জোরে।
-
বিরাট কোহলি ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে তিনি সহায়তা করে যাচ্ছেন অসচ্ছল শিশু, প্রাণী ও প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদদের।
-
বিরাট কোহলি একবার বলেছিলেন, ‘আমি যখন মাঠে নামি, প্রতিবার মনে হয় এটাই আমার শেষ ম্যাচ। তাই আমি আমার সেরাটা দেই।’ এই মনোভাবই তাকে করেছে আজকের বিরাট কোহলি একজন যোদ্ধা, এক অনুপ্রেরণা, এক লিজেন্ড।