শুভ জন্মদিন গোলের রাজপুত্র সার্জিও আগুয়েরো
ছোটখাটো গড়ন, কিন্তু বিপক্ষের রক্ষণভাগে যেন বজ্রাঘাত। বল পায়ে মুহূর্তেই ছন্দ বদলে ফেলা এক দুর্দান্ত ফুটবলার সার্জিও ‘কুন’ আগুয়েরো। আর্জেন্টিনার এই দুর্ধর্ষ স্ট্রাইকার শুধু ক্লাবের জার্সিতে নয়, দেশের হয়েও উপহার দিয়েছেন বহু স্মরণীয় মুহূর্ত। আজ তার জন্মদিনে আমরা ফিরে দেখি সেই ফুটবলারের গল্প, যিনি আতলেতিকো মাদ্রিদে ঝলক দেখিয়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার সিটিতে, আর সেখানেই গড়েছিলেন ইতিহাসের পাতায় লেখা বহু গোল, ট্রফি আর চিরস্মরণীয় মুহূর্ত। ছবি: ফেসবুক থেকে
-
মাত্র ১৫ বছর বয়সে আর্জেন্টিনার ক্লাব ইন্ডিপেনডিয়েন্তেতে অভিষেক। তখন থেকেই আলোচনায় আসেন ‘সাবেক মহান’ দিয়েগো ম্যারাডোনার জামাতা হিসেবেও, কিন্তু পরিচিতি তৈরি করেন নিজের খেলার মাধ্যমে।
-
স্প্যানিশ ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদে কাটান পাঁচ মৌসুম। তার গতি, বল কন্ট্রোল, আর গোল করার ক্ষমতায় লা লিগার অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড হয়ে ওঠেন। এই সময়েই ফুটবল বিশ্ব তার দিকে তাকাতে শুরু করে।
-
২০১১ সালে যোগ দেন ম্যানচেস্টার সিটি-তে। এরপর ইতিহাস। ২০১২ সালে কিউইউপিআরের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ের সেই কিংবদন্তি গোল ছিল প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসের সবচেয়ে নাটকীয় মুহূর্তগুলোর একটি।
-
সিটির হয়ে ১০ বছর খেলেছেন। ক্লাবটির সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি (২৬০ গোল)। জিতেছেন ৫টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা সহ অসংখ্য ট্রফি। কিংবদন্তি বনে যান ‘এতিহাদ’-এর হৃদয়ে।
-
জাতীয় দলের জার্সিতেও ছিলেন নির্ভরতার প্রতীক। মেসির ছায়ায় থেকেও নিজের দক্ষতায় অনেক গোল উপহার দিয়েছেন। অবশেষে ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা জিতে স্বপ্ন পূরণ করেন দেশের হয়ে।
-
ক্লাবে না হলেও জাতীয় দলে ছিলেন মেসির রুমমেট ও সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। হাস্যরস, রসিকতা আর খোলামেলা সম্পর্কের জন্য দু’জনের বন্ধুত্ব ছিল কিংবদন্তির মতো।
-
২০২১ সালে বার্সেলোনায় যোগ দেন, কিন্তু হৃদরোগ ধরা পড়ায় মাঠ ছাড়তে হয় হঠাৎই। বিশ্ব তখন স্তব্ধ হয়ে শুনেছিল তার অবসরের ঘোষণা মাত্র ৩০ বছর বয়সেই শেষ হয় এক অসমাপ্ত মহাকাব্য।
-
খেলার মাঠ ছাড়লেও থেমে থাকেননি। এখন ইউটিউব, টুইচ-স্ট্রিমিং ও টেলিভিশন বিশ্লেষণে সরব। নিজস্ব ইউমর আর ক্যারিশমায় ভক্তদের মনোরঞ্জন করে চলেছেন তিনি।