শৃঙ্খলা ফেরাতে ‘ডেভিল’ নিধন অপরিহার্য ছিল: ইসলামী আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০০ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ/ ফাইল ছবি

স্বৈরশাসনের অবসানের পর দেশকে স্থিতিশীল করতে এবং জনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ‘ডেভিল’ নিধন অপরিহার্য ছিল বলে উল্লেখ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। দেরি হলেও সে কাজ শুরু করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, পতিত স্বৈরাচারের আস্ফালন ও অপরাধীদের নিরাপদে বিচরণ করার খবর জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। যার সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে গত কয়েক দিনে। একটি কার্যকর রাষ্ট্রে আইনবহির্ভূত ভাঙচুর গ্রহণযোগ্য না হলেও স্বৈরাচারের নির্লজ্জতা তার পটভূমি তৈরি করেছে এবং ন্যায্যতা তৈরি করেছে।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুরানা পল্টনের কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সচিব পর্ষদের এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, আমরা মনে করি বিপ্লবের পরে স্বৈরাচারের বিচারের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। সেজন্য অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি কার্যকর পদক্ষেপ হবে বলে আমরা আশা করি। তবে একই সঙ্গে একটি বিষয়ে সতর্ক করতে চাই, কোনো অবস্থাতেই আইনের শাসনের ব্যত্যয় যেন না ঘটে। অপরাধী যত বড়ই হোক বা তার পাপের পাল্লা যত ভারীই হোক- তার বিচার আইনের মাধ্যমেই হতে হবে। আইন প্রয়োগে অবশ্যই বিদ্যমান রীতি-নীতির কঠোর অনুসরণ করতে হবে।

তিনি বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় বলা যায় যে, এ ধরনের অপারেশনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিরাপরাধ মানুষ ফেঁসে যায়। তথ্যের গড়মিল, গড়পড়তা ধরপাকড় ইত্যাদির কারণে সাধারণ মানুষ হয়রানি হয়। আমরা সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি এ বিষয়গুলোতে সতর্ক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ করছি।

সচিব পর্ষদ সভায় উপস্থিত ছিলেন- দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম ও হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, কেএম আতিকুর রহমান প্রমুখ।

এএএম/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।