কাউকে ইতিহাস বিকৃতির অধিকার দেয়নি সংবিধান : সুরঞ্জিত


প্রকাশিত: ১০:৫০ এএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪

দেশের সংবিধান নিয়মাতান্ত্রিকভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকার দিলেও কাউকে ইতিহাস বিকৃত করার অধিকার দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে চলমান রাজনীতি বিষয়ক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কোন দেশের ইতিহাস বিকৃতি সেদেশের জনগনের বিরুদ্ধে যায়। তাই কখনো ইতিহাস বিকৃতিকে দেশের জনগণ মেনে নেয় না। বিএনপি ইতিহাস বিকৃতির পক্ষে অবস্থান নেয়ায় তারা কখনো দেশের জনগণের সমর্থন পাবে না।

সুরঞ্জিত বলেন, সংবিধান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পকে কট্যুক্তি করে দেশের ইতিহাস বিকৃতি করার অধীকার কাউকে দেয়নি। নিয়মাতান্ত্রিক উপায়ে সভা-সমাবেশ করার অধিকার দিয়েছে। মৌলিক অধিকার কার কতটুকু রয়েছে তা আগে জানতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা লাভের ৪৩ বছর পর ইতিহাস বিকৃতিকে কখনো মানুষ মেনে নেবে না। তাই বিএনপি তাদের আন্দোলনে দেশের মানুষের সাড়া পাবে না।

সুরঞ্জিত বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাতির পিতা হিসেবে সাড়া পৃথিবী জুড়ে স্বীকৃত। বিবিসির জরীপে বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী হিসিবে নির্বাচিত হয়েছে। সেখানে তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুভাষ চন্দ্র বসু বা অন্য কারো নাম আসেনি।

তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসে তারেক রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অর্বাচীন বালকের মতো মন্তব্য করে বসলেন। আর তার মা বেগম খালেদা জিয়া পুত্রের সেই মন্তব্যকে সমর্থন করলেন। এ অপরাজনীতির পথ পরিহার করে বিএনপিকে নিয়মাতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরে আসতে হবে। তা না হলে বিএনপির গতকালের হরতাল যেভাবে জনগন কর্তৃক প্রত্যাখাত হয়েছে তেমনিভাবে আগামীতেও তাদের যে কোন কর্মসূচী প্রত্যাখাত হবে।

সংগঠনের উপদেষ্টা হাজী মোহাম্মদ সেলিম এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা হারুন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মিনহাজ্ব উদ্দিন মিন্টু ও বঙ্গবন্ধু একাডেমীর মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।