সোহরাওয়ার্দীতে জাপার মিলিয়ন ম্যান শো শুরু
পরিবর্তনের জন্য এরশাদ- উন্নয়নের জন্য এরশাদ- এ স্লোগান সামনে রেখে ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করতে যাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)। সকাল ১০টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় মহাসমাবেশের প্রথম পর্ব। বেলা ২টায় শুরু হবে বক্তৃতা পর্ব। পার্টি চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি।
এছাড়াও প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহিলা পার্টির সভানেত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতীসহ দলের শীর্ষ নেতারা মহাসমাবেশে বক্তৃতা করবেন। সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু এমপি।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে দলটির ডাকা হরতাল উপেক্ষা করেই এ মহাসমাবেশ সর্বাত্মকভাবে সফল করতে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মঙ্গলবার রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ নির্মাণ কাজ সরেজমিন দেখে আসেন। বুধবার তিনি মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে দেখেন মহাসমাবেশের প্রচারণা কার্যক্রম। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে প্রায় ১০ লক্ষাধিক লোকসমাগমের টার্গেট নেয়া হয়েছে। এ জন্য এই সমাবেশের নাম দেয়া হয়েছে মিলিয়ন ম্যান শো।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু বলেন, এ মহাসমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ-বিএনপির গত ২৪ বছরের দুঃশাসনের অবসান ঘটানোর ঘোষণা দেয়া হবে। এদিন রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন দিগন্তের সূচনা ঘটবে। জাতীয় পার্টি রাজনীতির নিয়ামক শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রকাশ ঘটাবে। তিনি আরও বলেন, এখন জাতীয় পার্টিকে অনেকের কাছে ধরনা দিতে হয়। এ মহাসমাবেশের পর সবাই জাতীয় পার্টির কাছে এসে ধরনা দেবে। স্মরণকালের বৃহৎ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে দাবি করে জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু বলেন, ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকে লোকজন মহাসমাবেশে যোগ দেবেন। ১০ লাখের বেশি লোক মহাসমাবেশে আসবেন।
দলীয় সূত্র জানায়, মহাসমাবেশ সফল করতে ইতিমধ্যে শহর বন্দর গ্রামে পোস্টার সাঁটানো ও ব্যানার টানানো হয়েছে। ঢাকা মহানগরী ছাড়াও নবাবগঞ্জ, দোহার, কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলা ও উপজেলাগুলোতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। নবাবগঞ্জ-দোহার উপজেলা থেকে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে মহাসমাবেশে।