শুধু নেতা নয়, সবাই মিলে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে: আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৮:১৫ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সবাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আপনাদের গ্রামে-গঞ্জে যেতে হবে, তারেক রহমান সাহেবের নির্দেশিত খালকাটা প্রকল্প হাতে নিতে হবে। প্রত্যেক এলাকার খালগুলো কেটে পানির নিষ্কাশন ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে হবে।

তিনি বলেন, সবকিছু সমাধান হবে ইনশাল্লাহ। তারেক রহমান সাহেব ৩০ কোটি গাছ লাগাবেন। সবাই মিলে আগামীর বাংলাদেশ করতে হবে। নেতা নয়, সবার অবদান থাকতে হবে। রাজনীতির সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতিকেও গণতন্ত্রায়ন করতে হবে।

বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর আলমাস হলের সামনে আয়োজিত র‍্যালির আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। র‍্যালিটির আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন।

আমীর খসরু বলেন, আজকে সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশে সবচেয়ে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি সেটা আপনারা আবারও প্রমাণ করেছেন। আমার মতে, দক্ষিণ এশিয়াতে বিএনপির সবচেয়ে বৃহৎ রাজনৈতিক দল আজকে। এটার কারণ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম, উন্নয়নের উদ্যোগ, চাষি, শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশ। এর আগে বাংলাদেশ ছিল একটি গোষ্ঠীর হাতে সীমাবদ্ধ।

বিএনপির এ নেতা বলেন, জিয়াউর রহমানের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয়তাবাদী চিন্তাভাবনা ও উদ্যোগে নতুন বাংলাদেশ গঠনের যে প্রত্যয় দিয়েছিলেন, তা পরবর্তীতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবার নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে, সৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে আমাদের নেতা তারেক রহমান। এরই মধ্যেই দেশের মানুষ তারেক রহমানের প্রতিটি স্বপ্নের সঙ্গে নিজেদের দেখতে পাচ্ছেন।

স্বপ্নগুলো কী? এক নম্বর স্বপ্ন হচ্ছে-বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থান। তারেক রহমান সাহেব বলেছেন, ক্ষমতায় যদি দেশের মানুষ আমাদেরকে দায়িত্ব দেয়, প্রথম আঠারো মাসে এক কোটি মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। চাকরি করবে, ব্যবসা করবে, দেশে কর্মসংস্থান ও বাইরে কর্মসংস্থান— সবকিছু পরিকল্পনা এরই মধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে।

‘বাংলাদেশের মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য সব ধরনের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আগামীতে বিএনপি যদি দায়িত্ব পায়, সাধারণ মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পকেট থেকে কোন পয়সা খরচ করতে হবে না। বাংলাদেশের মানুষের শিক্ষা এবং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিশাল বিনিয়োগের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে কামারকুমার থেকে শুরু করে যারা কাজ করছে, তাদের জন্য বিশাল প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে ইনশাল্লাহ। বাড়িতে বসে পণ্য তৈরি করে বিদেশি রপ্তানি করার ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শেয়ার বাজার, ব্যাংকিং সহ সবকিছু সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার মাধ্যমে সবাই যাতে এই সুযোগ পায়, সবাই যাতে ব্যবসা এবং চাকরিতে অংশগ্রহণ করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হবে।’

স্বৈরাচারমুক্ত দেশে তারেক রহমান জনমানুষের নেতা হয়ে উঠেছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ স্লোগানটি শুধু রাজনীতিকে গণতন্ত্রায়ন নয়, অর্থনীতিকেও গণতন্ত্রায়ন করতে হবে। অর্থনীতিকে গণতন্ত্রায়ন করে দেশের প্রত্যেক মানুষ যাতে আগামী বাংলাদেশে অর্থনীতিতে উন্নয়নের সহযোগিতা করতে পারে, অংশ নিতে পারে, নিজেদের জীবনযাপনের মান উন্নয়ন করতে পারে—এটাই হবে আগামী বাংলাদেশ, তারেক রহমানের নেতৃত্বে। আরও অনেক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রথম কাজ হবে আমাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। গণতন্ত্র ফিরে আনতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করতে হবে। জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মালিকানার ভিত্তিতে আগামীর বাংলাদেশ হবে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক। জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সংসদের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া-পাওয়ার কথাগুলো বলতে পারবে, যা এখন কেউ বলতে পারছে না।

খসরু বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় গণতন্ত্র ফেরার পথে যদি কেউ বাধা দিতে চায়, নির্বাচনকে বাধা দেওয়া মানে- গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করা, বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা বন্ধ করা এবং আগামীতে মানুষের রাজনৈতিক সংবিধানিক অধিকারে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করা। সুতরাং ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এমআরএএইচ/এমএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।