শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ায় সরকারকে জামায়াত আমিরের ধন্যবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩৯ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান/ফাইল ছবি

বাড়িভাড়াসহ বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির জন্য আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি সরকার মেনে নেওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের পেজে দেওয়া এক পোস্টে জামায়াত আমির এ ধন্যবাদ জানান।

শফিকুর রহমান পোস্টে লেখেন, বাড়িভাড়াসহ বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের যৌক্তিক আন্দোলনের দাবিটি অবশেষে সরকার মেনে নিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে শিক্ষকরা যথেষ্ট কষ্ট ভোগ করেছেন। বছরের শেষ প্রান্তে এসে শিশু-কিশোর ও ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখারও কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘এই বিবেচনাটি আগে করলে শিক্ষকমণ্ডলীর কষ্ট এবং ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি- উভয়ই এড়ানো যেত। সম্মানিত শিক্ষকদের প্রতি আমাদের অগাধ শ্রদ্ধা। বিলম্বিত হলেও সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ।’

আরও পড়ুন
বুধবার থেকে ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষকরা, খোলা থাকবে শনিবারও
বাড়িভাড়া বাড়ানোয় ‘সন্তুষ্ট’ শিক্ষকরা, আন্দোলন স্থগিত
শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বাড়লেও চিকিৎসাভাতা-বোনাস আগের মতোই

বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার দাবিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ১২ অক্টোবর থেকে লাগাতার আন্দোলনে নামেন। এর ফলে বাড়িভাড়া ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষক নেতারা।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী বলেন, আমাদের তিন দফা দাবি ছিল। বাড়িভাড়ার বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। বড় দাবিটি পূরণ হয়েছে। এটাই আমাদের বড় বিজয়। আন্দোলন করে প্রজ্ঞাপন নিয়েই বাড়ি ফিরছি। আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করছি। আগামীকাল বুধবার থেকে শ্রেণিকক্ষে ফিরছি।

আরএএস/একিউএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।