হাদির আসনে প্রার্থী দিতে রাকসু জিএস সালাউদ্দিন আম্মারের আকুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৩ এএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) জিএস সালাউদ্দিন আম্মার/ ফাইল ছবি

ঢাকা- ৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে চেয়েছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাইযোদ্ধা শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদি। কিন্তু সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ হয়েছেন তিনি। এদিকে, তার আসনে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ নির্বাচন করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।

আবার এই আসন থেকে ইনকিলাব মঞ্চের কেউ এখনো নির্বাচন করার ঘোষণা দেননি। কেউ মনোনয়নপত্রও কেনেননি। অথচ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র কেনার শেষ দিন।

এমন প্রেক্ষাপটে ঢাকা- ৮ আসন থেকে ইনকিলাব মঞ্চের কাউকে প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের লড়তে আকুতি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) জিএস ও জুলাইযোদ্ধা সালাউদ্দিন আম্মার।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ আকুতি জানান।

সালাউদ্দিন আম্মার লিখেছেন, প্রিয় শহীদ হাদি ভাইয়ের পরিবার! বিশেষ করে মাসুমা আপু, ওমর ভাই, আব্দুল্লাহ আল জাবের ভাই, ফাতিমা তাসনিম ঝুমা আপু। আগামীকাল মনোনয়নপত্র নেওয়ার শেষ দিন। হাদি ভাইয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে আপনারা জানিয়ে দিয়েছেন, পরিবারের কেউ নির্বাচনে অংশ নেবে না। কিন্তু আমার মতো হাজার হাজার মানুষ আছে, যারা চাচ্ছে হাদি ভাইয়ের রক্ত, হাদি ভাইয়ের শক্তি, হাদি ভাইয়ের বিপ্লব, হাদি ভাইয়ের ইনসাফের বার্তা সংসদে ঝড় তুলুক।

‘গত তিনদিন হাদি চত্বরে থেকে ভাইয়ের জন্য হাজার মায়ের কান্না, বোনের আকুতি, বাবার দোয়া দেখেছি এবং শুনেছি আমি। আপনাদের ইনকিলাব মঞ্চ এর সদস্য হওয়ার সৌভাগ্য আমার কখনো হয়নি, আপনারা খেয়াল করেছেন কি না, জানি না। আমি আপনাদের কোনো কথার বাইরে কোনো ম্যাসেজ কখনো দেশবাসীকে দেই না। আমি আপনাদের নেতা মেনে নিয়েছি শুধুমাত্র শহীদ হাদির ইনসাফের লড়াইয়ের খাতিরে।’

তিনি আরও লেখেন, শহীদ হাদির বিচার চাচ্ছি, চেয়ে যাবো কিন্তু হাদির লড়াই, হাদির আমানত কীভাবে ভুলে যাবো? কীভাবে হাদির ঢাকা- ৮ সে দখলদারির হাতে তুলে দেবো? হাদি ভাই তো এমপি হয়ে বাকি ২৯৯ জন এমপির দুর্নীতির বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর হতে চেয়েছিল সেগুলো পূরণ করা আপনাদের কর্তব্য না? আমার থেকে আপনাদের হাজারগুণে বেশি কষ্ট হয় আমি বুঝি কিন্তু আমি কেনো আপনাদের শেষ একটাবার ভেবে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি জানেন?

রাকসুর জিএস লেখেন, গত দেড় বছর আমার রাজনীতির বয়স। আমার বুঝও অনেক কম। তবুও বলি- নির্বাচনের পর শহীদ হাদিকে কালচারালি, পলিটিক্যালি মুছে ফেলতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে পলিটিক্যাল আর কালচারাল শুয়োরের বাচ্চারা। হাদির ইনকিলাব মঞ্চ, হাদিন ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার ভাঙা বাঁশের কেল্লা হয়ে যাবে।

আম্মার লিখেছেন, আর হাদি ভাইয়ের মতো ডায়নামিক কালচারাল ফাইট দেওয়ার মতো কেউ আপাতত ইনকিলাবে কেনো, মনে হয় না কোনো অ্যাক্টিভিস্ট, পলিটিশিয়ানদের মধ্যে কেউ আছে! হাদিকে বাঁচিয়ে রাখতে, হাদির ইনসাফের লড়াই বাচিয়ে রাখতে হাদির কথামতো ওই ৫০০ ভোটের জন্য হলেও লড়াই করতে হবে। অনুরোধ জানাই আপনাদের কাছে।

তিনি আরও লেখেন, হাদির মাথায় বুলেট ঢুকেছে কিন্তু হাদি এখন সবার মাথায়, মস্তিস্কে, মগজে, অন্তরে ঢুকে গিয়েছে। হাদিকে হারতে দিয়েন না। হাদি লড়াইয়ে শাহাদাত বরণ করেছে, আরেকজন সেনাপতি হয়ে যান। ওমর ভাই, মাসুমা আপু অথবা জাবের ভাই দয়া করে আরেকটা বার ভেবে দেখেন। জনগণ শহীদ হাদির ইনসাফের পতাকা সংসদে দেখতে চায়। আমিও চাই আপনাদের নির্ধারিত কেউ সংসদে যাবে আর বাতিলের মসনদ কাঁপিয়ে তুলবে।

এএএইচ/এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।