শুক্রবার নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে প্রধানমন্ত্রীকে


প্রকাশিত: ১০:২৮ এএম, ২৭ মে ২০১৫

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে অসামান্য অর্জনের সফল কান্ডারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২৯ মে শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। বুধবার নগরীর সেগুনবাগিচার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের ধারা বেশি সক্রিয়। দেশে গণতন্ত্রের সুবাতাস বইছে এবং গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রয়েছে। এ সময় নাগরিক সংবর্ধনার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে সাংবাদিক সম্মেলনে মিডিয়াকে অবহিত করেন সৈয়দ শামসুল হক।

শামসুল হক বলেন, প্রতিটি রাষ্ট্রে সরকার, বিরোধীদল এবং নাগরিক সমাজ থাকে। আর সরকার ও বিরোধী দলের সমান দায়িত্ব থাকে নাগরিক সমাজের।

তিনি বলেন, দেশে প্রবাহমান গণতন্ত্রের সুবাতাস ও সুসময় যাতে কখনো ব্যাহত না হয়, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে। এর মাধ্যমে নাগরিক সমাজকে সচেতন করে তোলা হবে।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তিকে এক বিশাল মানবিক অর্জন হিসেবে উল্লেখ করে শামসুল হক বলেন, ১৯৭৪ সালে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও এখন তা বাস্তবায়িত হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত ছিটমহলবাসী যে মানবেতর জীবনযাপন করছিল, এ চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার অবসান হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত না হলে এ চুক্তি অনেক আগেই বাস্তবায়িত হতো। দেশের মানুষের উল্লাসকে প্রকাশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার জন্য জাতীয় নাগরিক কমিটি এ নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করেছে।

তিনি বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে লক্ষাধিক মানুষ যাতে বৃষ্টি হলেও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি, মায়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা জয়, জঙ্গিবাদ দমন করে শান্তি প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র্য জয়সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মুনতাসির মামুন, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি ড. কবি মো. আব্দুস সামাদ, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী হাশেম খান, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুসসহ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।