বিকেলে ঢাবি ছাত্রলীগের সম্মেলন

বৈরি আবহাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার সকালের পরিবর্তে বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের কাউন্সিল। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক শেখ রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
এদিকে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আসন্ন কাউন্সিলকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। মধুর ক্যান্টিন কিংবা ডাকসুর সামনে নেতাকর্মীদের ভীড় আগাম জানান দিচ্ছে প্রতিক্ষিত কাউন্সিলের।
ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে পদ প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ। ডাকসু ভবনে সোম ও মঙ্গলবার প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করছেন বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বাবু জয়দেব নন্দীর নেতৃত্বে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা।
শেষ সময়ে এসে নিজেদের পক্ষে সর্মথন আদায়ে ব্যস্ত থাকছেন পদ প্রত্যাশীরা। বসে নেই সিন্ডিকেটও। ধারণা করা হচ্ছে এবারেও হয়তো সিন্ডিকেটের জালে আটকে যেতে পারে ঢাবি ছাত্রলীগের কাউন্সিল।
ছাত্রলীগের মূল চারটি নেতৃত্বের মধ্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাবি শাখা সভাপতি- সাধারণ সম্পাদককে গণ্য করা হয়ে থাকে। এছাড়া রাজনীতির আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত ঢাবির অধীভুক্ত মধুর ক্যান্টিন থেকে ছাত্রলীগের অধিকাংশ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সে হিসেবেই এটি যে কোন ছাত্রসংগঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শাখা হিসেবে বিবেচিত হয়।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ সম্মেলন নিয়ে শুরু হয়েছে শেষ মুহুর্তের সব হিসাব-নিকাশ। এই শাখার নেতৃত্বে কে কে আসতে পারেন তার চুলছেড়া বিশ্লেষণও চলছে। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠনো হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
অন্যদিকে সিন্ডিকেটের জালে আবদ্ধ হতে পারে ঢাবি ছাত্রলীগের এবারের কাউন্সিলও এমনটাই ধারণা ত্যাগী নেতাদের। ইলেকশন (নির্বাচন) না সিলেকশন (মনোনয়ন) এটাই এখন কাজ করছে নেতাকর্মীদের মাঝে। আর তাদের সে ধারণার সত্যতা দিচ্ছে গত কয়েকদিন থেকে শুরু হওয়া দেশের বিভিন্ন শাখার ‘সিলেকশন’ পদ্ধতি।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে নেতা নির্বাচনে ‘ভোটপদ্ধতি’ এর কথা বলা থাকলেও তা মানছে না ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, এ বছর প্রায় সব জেলা শাখায়ই নেতা ‘নির্ধারণ’ করে দিয়েছে সোহাগ-নাজমুল কমিটি।
এসএ/এআরএস/আরআইপি