করোনা পরীক্ষায় ফি নির্ধারণ : পুনর্বিবেচনার অনুরোধ তথ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১২ পিএম, ০২ জুলাই ২০২০
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষায় ফি নির্ধারণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

করোনা পরীক্ষার ফি নিয়ে সমালোচনার বিষয়টি সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি, এটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য। তবে একেবারেই বিনামূল্যের কারণে অনেক সময় যাদের প্রয়োজন নেই তারাও পরীক্ষা করে। কিন্তু গরিব মানুষ যাতে প্রয়োজনে বিনামূল্যে পরীক্ষা করাতে পারে, সেটি নিয়ে তার সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি।’

গত ২৯ জুন করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে পরিপত্র জারি করা হয়।

পরিপত্র অনুযায়ী, বুথ থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার ফি ২০০ টাকা, বাসা থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার ফি ৫০০ ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর নমুনা পরীক্ষা ফি ২০০ টাকা।

এ সময় সাংবাদিকরা কুয়েতে মানবপাচারের দায়ে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম পাপুল গ্রেফতারের ফলে সেখানে কর্মী রফতানি ব্যাহত হবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কুয়েতের তদন্তে সেখানকার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদদের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে এসেছে। তাদের সম্পৃক্ততা, সহযোগিতা ছাড়া এই কাজগুলো হতো না, সুতরাং তারাও সমভাবে দায়ী। সুতরাং এ ঘটনায় আমাদের শ্রমবাজারে অর্থাৎ কুয়েতে কর্মী রফতানির ক্ষেত্রে আমাদের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না।’

এর আগে তথ্যমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রামের সল্টগোলায় ৫০ শয্যার বিজিএমইএ কোভিড-১৯ ফিল্ড হাসপাতাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হন।

উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় সমন্বিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।’ এ উদ্যোগে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতিকে (বিজিএমইএ) ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। ‘তৈরি পোশাক রফতানি খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘লাইফ-লাইন’ উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন। বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হক, প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম ও বোর্ড সদস্যরা উদ্বোধনী সভায় অংশ নেন।

চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনার শুরুতে চট্টগ্রামে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক প্রতিকূলতা, সীমাবদ্ধতা ছিল। কিন্তু আমরা ক্রমাগতভাবে সমন্বয় সভা করে প্রশাসন, পুলিশ, ব্যবসায়ী-স্বেচ্ছাসেবী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছি, সে কারণে আগের পরিস্থিতি এখন নেই, অনেক উত্তরণ ঘটেছে। আইসিইউ, ভেন্টিলেটরসহ যে সুবিধাগুলোর অপ্রতুলতা ছিল, আমরা সেই সংকট সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি।’

এমইউএইচ/এফআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।